ꦯ এবার তাঁর বাবাকে উদ্ধৃত করে এস জয়শংকরকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন আমলা জহর সরকার। গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে জয়শংকরের বাবা কে সুব্রহ্মণ্যমের উদ্ধৃতি মনে করিয়ে দিলেন জহওর সরকার। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয়শংকর বলেছিলেন যে বর্তমানে দেশের স্বার্থে কাজ করছে বিজেপি। এবং তাই তিনি কূটনৈতিক ক্যারিয়ার শেষে রাজনীতিক হিসেবে এই দলকেই বেছে নেন। পাশাপাশি ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়শংকর। এই আবহে জহর সরকার পালটা 'গুজরাট দাঙ্গা' প্রসঙ্গে তাঁর বাবার বলা কথা মনে করালেন জয়শংকরকে।
🙈জয়শংকরকে আক্রমণ শানিয়ে সরকার বলেন, 'অদ্ভূত লাগছে এটা ভেবে যে জয়শংকর গান্ধীদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের অধীনেই তো এত ভালো ভালো পদে থেকেছেন তিনি।' পাশাপাশি সরকার আরও বলেন, 'কে সুব্রহ্মণ্যম বলেছিলেন যে গুজরাটে ধর্মের মৃত্যু ঘটেছিল। যারা নীরিহ মানুষদের রক্ষা করতে অসমর্থ হয়েছিলেন তারা অধর্মের দোষে দোষী। রাম যদি থাকতেন, তিনি গুজরাটের অসুর শাসকদের দিকে তির নিক্ষেপ করতেন।' এরপর তৃণমূল সাংসদ বলেন, লজ্জা লাগছে এটা ভেবে যে এই মত পোষণ করা ব্যক্তির ছেলে এই অসুরদের হয়ে কাজ করছে।
💦ভারতের হয়ে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত থাকা এস জয়শংকর আচমকাই ২০১৯ সালে রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন। মোদী ২.০ সরকারে তিনি যখন বিদেশমন্ত্রী হন, তখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। রাজ্যসভার সদস্য করা হয় তাঁকে। বিদেশমন্ত্রী হন। পরে গিয়ে বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পডকাস্টে জয়শংকর বলেন, 'আমার মাথায় সবসময় ছিল যে আমাকে শ্রেষ্ঠ অফিসার হতে হবে। আমার পরিবারের থেকে ... চাপ ঠিক বলব না... তবে আমার বাবা সচিব ছিলেন। ১৯৭৯ সালে জনতা সরকারের জমানায় সবচেয়ে কম বয়সি সচিব হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রথমেই আমার বাবাকে সরিয়ে দেন সচিব পদ থেকে। যদিও আমার বাবা প্রতিরক্ষা বিষয়ে খুবই জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন।' জয়শংকর বলেন, 'আমার বাবা সোজা কথা সোজা ভাবে বলতেন। হয়ত তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজীব গান্ধীর সময় আমার বাবাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তাঁর থেকে জুনিয়র অফিসারকে ক্যাবিনেট সচিব করা হয়েছিল। তাই আমার দাদা যখন সচিব হন, তখন আমার বাবা খুবই গর্ব বোধ করেন।' এরই পালটা তোপর দেগে টুইট করলে জহর সরকার।