ভটারদের ঘুষ দেওয়ার জেরে সাংসদকে যেতে হল জেলে। এমনই বিরল ঘটনা ঘটেছে ভারতের তেলাঙ্গানায়। এই ধরনের প্রচুর অভিযোগ দেশ জুড়ে তোলা হলেও তার প্রেক্ষিতে পদক্ষএপ নিতে দেখা যায় না। তবে সেই প্রথা ভাঙল তেলাঙ্গানায়। দেশের ইতিহাসে খুব সম্ভবত এই প্রথম বার ভোট কেনার চেষ্টা করায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজার মুখে পড়লেন কোনও সাংসদ। এই বিরলতম ঘটনায় ছয় মাসের জন্যে জেলে থাকতে হবে তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির টিকিটে মহবুবাবাদ লোকসভা কেন্দ্র সাংসদ নির্বাচিত হওয়া মালথ কবিতাকে। তাঁর এক সহযোগীকেও এই একই সাজা শুনিয়েছে আদালত। পাশাপাশি দুই জনকেই ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা দিতে বলা হয়েছে।তবে এখনই জেলে যেতে হচ্ছে না সাংসদকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন জানাতে পারেন। ততদিনের জন্যে সাংসদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মহবুবাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে কবিতার সহযোগী শওকত আলির বিরুদ্ধে টাকা বিলি করার অভিযোগ করেছিলেব কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের। আধিকারিকরা শওকতকে টাকা দিতে হাতেনাতে ধরেছিলেন।অভিযোগ, সাংসদের সহযোগী ভোটারদের ৫০০ টাকার বিনিময়ে কেনার চেষ্টা করছিলেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ আদালতে মামলা ওঠে শওকতের বিরুদ্ধে। শওকত সেই সময় জানিয়েছিলেন যে তিনি মালথ কবিতার হয়ে টাকা বিলি করছিলেন। এরপরই শওকতকে প্রথম এবং কবিতাকে দ্বিতীয় অভিযুক্ত করে মামলা হয় আদালতে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১-ই ধারা অনুযায়ী ঘুষ দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন দুই অভিযুক্ত। এরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে সাজা শোনায় আদালত।