উদয়পুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যোগ আছে বিজেপির। এমনই দাবি করলেন তৃণ🍌মূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ছবি দেখিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের দাবি, এক খুনি বিজেপির কর্মী ছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
শনিবার টুইটারে তিনটি ছবি শেয়ার করে অভিষেক লিখেছেন, 'না, ওরা একতা চায় না। না, ওরা ঐক্য চায় না। না, ওরা গ♋ণতন্ত্র চায় না। ওরা দেশকে বিভক্ত করতে চায়। ঘ꧅ৃণা ছড়ানো, অপপ্রচার চালানো ও বিভেদমূলক রাজনীতির জন্য দায়ী বিজেপি। উদয়পুরের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছে।'
কংগ্রেসও দাবি করেছিল, রাজসꦍ্থান বিধানসভার বি🃏রোধী দলনেতা তথা উদয়পুরের বিধায়ক গুলাব চাঁদ কাটারিয়ার সঙ্গে রিয়াজের ছবি আছে। বিজেপির উদয়পুরের সংখ্যালঘু শাখার প্রধান ইরশাদ চেনওয়ালার সঙ্গেও রিয়াজের ছবি আছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। নাম গোপন রাখার শর্তে চেনওয়ালার এক প্রতিবেশী জানান, রিয়াজ বিজেপির সদস্য কিনা জানা নেই। তবে কয়েক বছর আগেও এলাকায় বিজেপির হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করত রিয়াজ।
আরও পড়ুন: ‘দু'দিন পরই নিরাপত্তা প্রত্য🅺াহার’, উদয়পুরকাণ্ডে পুলিশে💟র ভূমিকা নিয়ে উঠল প্রশ্ন
যদিও ইতিমধ্যে বিজেপি দাবি করেছে, উদয়পুরকাণ্ডে খুনি রিয়াজ তাদের কর্মী নন। চেনওয়ালা বলেছেন, 'মালার যে ছবি আছে, তা একটি ধর্মীয় যাত্রা থেকে ফেরার পর তোলা হয়েছিল। তার সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছিল কেউ এক🥃জন।' রিয়াজ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা, তা নিয়ে🦋 প্রাথমিকভাবে উদয়পুরের সংখ্যালঘু শাখার প্রধান দাবি করেন, সে বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য তিনি দাবি করেন, বিজেপির কর্মী নয় রিয়াজ।
উদয়পুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ড
পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুরের কানাহাইয়া লাল। তা নিয়ে গত ১৭ জুন কানাহাইয়া লালকে খুনের হুমকি দিয়ে ভিডিয়ো প্রকাশ করে এক অভিযুক্ত রিয়াজ আটারি। সেই ভিডিয়োটি ফেসবুক এবং উদয়পুরের বিভিন🔯্ন হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ভিডিয়োর প্রেক্ষিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হুমকি পাওয়ার পর ছয়দিন দোকানও খোলেননি। মঙ্গলবারই প্রথম ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚদোকান খুলেছিলেন। সেদিনই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ইতিমধ্যে সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।
আরও পড়ুন: 'উদয়পুরের মতো ঘটনার জন্য নূপুর শর্মার মন্তব্য দায়ী', আর 🍸কী কী বলল সুপ্রি💖ম কোর্ট?
কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল?
কাপড় তৈরির বাহানায় মঙ্গলবার দুপুরে কানাহাইয়া লালের দোকানে আসে রিয়াজ এবং ঘাউস মহম্মদ। একজন ভিডি🐟য়ো করছিল। অপরজনের পোশাকের মাপ নিচ্ছিলেন কানাহাইয়া লাল। তারপরই কানাহাইয়া লালের উপর হামলা চালায় কট্টরপন্থীরা। চিৎকার করে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কানাহাইয়া লাল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কানাহাইয়া লালের গলা কেটে দেয় কট্টরবাদীরা।
(অতিরিক্ত তথ্য়- সচিন সাইনি/সোহেল খান - হিন্দুস্তান টাইমস)