শীতকালীন চাষাবাদ পর্ব শুরু হওয়ার আগেই কৃষকদের জ♐ন্য সুখবর! গম-সহ মোট ছয় ধরনের রবি শস্যের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার কেন্দ্▨রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত পাস করা হয়েছে।
বুধবারের বৈঠকে স্থির হয়েছে, মূলত🌌 ๊ভোজ্য তেল নিষ্কাষণের জন্য যেই দুই শস্য ফলানো হয়, যথা - সরষে এবং রেপসিড, এই দু'টি শস্যের এমএসপি প্রতি কুইন্টালে বাড়ানো হবে ৩০০ টাকা। ওই একই পরিমাণ শস্যের নিরিখে মুসুর ডাল এবং গমের এমএসপি বাড়বে যথাক্রমে - ২৭৫ টাকা এবং ১৫০ টাকা।
এমএসপি-র এই বৃদ্ধির ফলে কৃষক🥂রা সরষে ও রেপসিডের প্রতি কুইন্টাল ন্যূনতম দাম পাবেন ৫,৯৫০ টাকা। এছাড়া, প্রতি কুইন্টালে মুসুর ডাল, গম এবং♛ ছোলার এমএসপি বেড়ে হবে যথাক্রমে - ৬,৭০০ টাকা, ২,৪২৫ টাকা এবং ৫,৬৫০ টাকা।
এই বর্ধিত এমএসপি কার্যক🐠র থাকবে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে। যা শুরু হবে আগামী ১ এপ্রিল (২০২৫) থেকে। এর ফলে খরচ হবে ৮৭, ৬৫৭ কোটি টাকা।
তথ্য বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী দানা শস্য এবং ডালের ফলন বৃদ্ধি ও সেগুলি🗹কে কৃষকদের জন্য আরও লাভজনক ফসল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেই প্রেক্ষিতে এমএসপি-র এই বৃদ্ধি তালিকায় সর্বোচ্চ দাম বৃদ্ধি হচ্ছে সরষে, রেপসিড এবং মুসুর ডালের। অন্যদিকে, এই এমএসপি বৃদ্ধির ফলে, উৎপাদন খরচের নিরিখে কৃষকরা গম চাষ করে সবথেকে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কারণ, গম হল ভারতের সবথেকে জনপ🍬্রিয় রবি শস্য। এবং যে ছ'টি শস্🍌যের এমএসপি বাড়ানো হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণ জমিতে গমেরই চাষ করা হয়।
এমএসপি-র এই বৃদ্ধির ফলে গড় ওজনের নিরিখে সারা দেশে সংশ্লিষ্ট ফসলগুলির প্রত্যাশিত উৎপাদন খরচ🌌 হবে যথাক্রমে - গম - ১০৫ শতাংশ, রেপসিড এবং সরষে - ৯৮ শতাংশ, মুসুর ডাল - ৮৯ শতাংশ, ছোলা ও বার্লি - ৬০ শতাংশ এবং সূর্যমুখী - ৫০ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, 'সংশ্লিষ্ট রবি শস্যগুলি♐র এমএসপি বাড়ায় কৃষকদের মুনাফা নিশ্চিত হবে এবং তাঁরা বিভিন্ন ধরনের শস্য উৎপাদন করার উৎসাহ পাবেন।'
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংশ্লিষ্ট ফসলগুলিতে এই এমএসপি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য হল- সারা꧃ দেশে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে যে পরিমাণ এমএসপি পান, তা অন্তত ততটা পর্যন্ত বাড়ানো, যাতে গড় উৎপাদন খরচের ন্যূনতম দেড় গুন দাম উৎপাদক পেতে পারেন।