চূড়ান্ত টালবাহানার পর হাথরাসে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তরুণীর পরিবারের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের কিছুক্ষণের মধ্যেই হাথরাসের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।দুপুরের পর থেকে একাধিক ঘটনার সাক্ষী থাকার পর সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট নাগাদ হাথরাসে তরুণীর বাড়িতে পৌঁছান রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অধীর চৌধুরী। সেজন্য বাড়ির চারপাশে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তরুণীর মা'কে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর সঙ্গে একান্তে কথাও বলেন।রাত ৮ টা ৩০ মিনিট নাগাদ তরুণীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাহুল বলেন, ‘আমরা শোকাহত পরিবারের বিশ্বের কোনও শক্তি পরিবারের কণ্ঠস্বর দমিয়ে দিতে পারবে না। আমরা পরিবারের সঙ্গে আছি। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। পরিরাবের ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য।’রাহুলের সুরেই প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘পরিবারের নিরাপত্তার প্রয়োজন। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করব। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।’ একইসঙ্গে যেভাবে পরিবারের কথায় ভ্রূক্ষেপ না করেই পরিজনদের অনুপস্থিতিতে তরুণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে যোগীর পুলিশ, তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে শেষবারের জন্য তাদের মেয়েকে দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল পরিবার। রীতির বিরুদ্ধে গিয়ে রাতে জোর করে (তরুণীর) শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।’ প্রিয়াঙ্কা-রাহুল বেরিয়ে আসার ৩৫ মিনিট পর আবার টুইটারে যোগী জানান, ‘হাথরাসের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায়' সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, 'এই ঘটনায় অপরাধী সকলের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।'রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, হাথরাসের ঘটনায় যেভাবে চাপ বাড়াচ্ছেন বিরোধীরা, তাতে বাধ্য হয়ে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে আসতে দেওয়া হয়েছে। সেই চাপেরই ফল হিসেবে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন যোগী। যদিও যোগীর সেই সুপারিশের মধ্যেই তরুণীর বাড়িতে যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সেই দলের এক সদস্য আবার সদর্পে জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পাশাপাশি তদন্ত চালাবে সিটও। ফলে স্বভাবতই যোগী সরকারের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।