শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি প্রথম থেকেই 'সন্তুষ্ট' ছিল না আমেরিকা। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বারংবার বিবৃতিও দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। সেই আমেরিকাই পালা বদলের পর মহম্মদ ইউনুসকে স্বাগত জানিয়েছিল। তাঁর সরকারকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। অপরদিকে ইউনুসও বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে ইউনুসের সরকারের ১০০ দিনে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হয়েছে সেখানে। এই আবহে এবার বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সরকারের দমনমূলক নীতিকে কোনও মতেই সমর্থম করে না তারা। (আরও পড়ুন: তৈরি হল ইতিহাস! মাস্কের ফ্যালকন র🌳কেটে🌠 চেপে মহাকাশে ইসরোর GSAT-N2 স্যাটেলাইট)
আরও পড়ুন: উদ্ধার লটারি দুর্নীতির ১২ কোটি, 💫অভিযুক্ত সংস♈্থার মালিক ৫৪০ কোটি দিয়েছিলেন TMC-কে
গতকাল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বাংলাদেশ নিয়ে। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার এবং আন্দোলনকারীদের দমনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মার্কিন আধিকারিককে। সেই সময়ই তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে যদি সরকারি মদতে দমন করা হয়, তাহলে তা কোনও ভাবেই সমর্থন করবে না আমেরিকা। এই আবহে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে নমনীয় হতে আবেদন জানালেন ম্যাথু মিলার। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ সরকারকে আমরা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে আমরা সমর্থন করি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের দমন করা কোনও সরকারেরই উচিত নয়।' (আরও পড়ুন: 'ক্রমেই বাড়ছে হিংসা…', বেলডাঙা নিয়ে মুখ্যমন্ত্র🅘ীকে 'নির্দেশ জারি' রাজ্যপালে🎃র)
প্রসঙ্গত গত ৫ নভেম্বর বাংꦇলাদেশের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ওসমান আলি ফেসবুকের ইসকন নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ইসকনকে 'জঙ্গি সংগঠনের' তকমা দেন। তাঁর এই পোস্ট দেখে ক্ষুব্ধ হয় চট্টগ্রামের হিন্দুরা। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ, সেনা পৌঁছয় চট্টগ্রামের হাজারি গলি এলাকায়। সেই এলাকাটি চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত। সেখানে প্রায় ১০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে সেনার বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়। এই নিয়ে এক সিসিটিভি ফুটেজও সামনে আসে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি)। সেখানে দেখা যায় বাংলাদেশ সেনার জওয়ানরা নিজেরাই খালি রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছেন।