মন্দিরের গর্ভগৃহে এক সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের জন্মদিনꦚ পালনের খেসারত দিতে হল বাদবাকি ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের। সম্প্রতি ওই সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, যাঁর ইনস্টাগ্রামে ১০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছেন, তিনি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর কালভৈরব মন্দিরের ভিতর কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করেন!
এই ঘটনা সোশাল মিড💛িয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনা শুরু হয়। যার জেরে🌃 মন্দির কর্তৃপক্ষ স্থির করেছে, এবার থেকে আর কোনও ভক্ত বা পুণ্যার্থীই মন্দিরের বিগ্রহকে কেক উৎসর্গ করতে পারবেন না।
যাঁকে ঘিরে এত বিতর্ক, তাঁর নাম মমতা রাই। যে ৩২ সেকেন্ডের ভিডিয়ো নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, মমতা মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে প্রথমে কিছু আচার পালন করলেন। সেখানে উপস্থিত পুরোহিত তাঁর গলায় মালাদা পরিয়ে দিলেন। তারপর মমতা বিগ্রহওের সামনে রাখা প্রণামী ব🍬াক্সের উপর কেক রেখে, তাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে, সেই কেক কাটলেন। তারপর সেই কেকের প্রথম টুকরোটি কালভৈরবকে নিবেদন করে সেখানেই তাঁর সামনে রেখে দিলেন তিনি।
এ নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমকে জানান, মমতা তাঁদের বলেছিলেন, তিনি ঈশ্বরকে কেক নিবেদন করতে চান। মন্দিরে অনেকেই কালভৈরবকে কেক নিবেদন করেন। এটা নতুন কিছু নয়। তাই, তাঁরা মমতাকেও কে𒀰ক নিবেদন করার অনুমতি দেন।
নবীন গিরি নামে মন্দির কর্তৃপক্ষের ওই প্রতিনিধি এনডিটিভি𒊎-কে আরও জানিয়েছেন, মমতা যে একজন সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর এবং তাঁর যে লক্ষ-লক্ষ ফলোয়ার আছেন, সেসব তাঁরা জানতেন না।
নবীন জানান, মমতা ওই ঘটনার ভিডিয়ো যেভাবে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, তা দেখে মনে হচ্ছে, তিনি বোধ হয় মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিতরেই নিজের জন্মদিন পালন করেছেন। কিন্তু, মন্দির কর্তৃপক্ষ এসব জানত না। নবীনের মতে, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। য𒐪া অত্যন্ত বড় করে দেখানো হচ্ছে।
বিষয়টি নজরে আসার পরই মন্দির কꩲর্তৃপক্ষের তরফে স্থির করা হয়, এবার থেকে মন্দিরের ভিতর কেক কাটা বা কা꧂লভৈরবকে কেক উৎসর্গ করা যাবে না।
অন্যদিকে, কাশী বিশ্বনাথ পরি꧋ষদ নামে স্থানীয় একটি ধর্মীয় সংগঠন এই ঘটনাকে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করার সমতুল্য বলে তোপ দেগেছে। তারা মৌমিতাকে লিগ্যাল নোটিশ পা♎ঠানোর কথাও ভাবছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাম নারায়ণ দ্বিবেদী এই প্রসঙ্গে বলেন, 'যে কেউ তাঁর꧂ জন্মদিনে মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতেই পারেন। কিন্তু, গর্ভগৃহে ঢুকে ফুঁ দিয়ে মোমবাতি নেভানো, কেক কাটা, এসব ঠিক নয়। আমরা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনব। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।'