শনিবারের নির্বাচন কার্যত নিয়মরক্ষার হতে চলেছে। কোনও🅠রকম অঘটন না ঘটলে (সেটাও অবিশ্বাস্য পর্যায়ের) ভারতের নয়া উপ-রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী জগদীপ ধনখড়।
আজ সকাল ১০ টা থেকে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটদান প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। রাতের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তাতে জয়ী হিসেবে ধনখড়ের নাম ঘোষণা হওয়া স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার কাজ বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা সাহসী মুখ তুলে ধরার চেষ্টা করলেও সংখ্যা যে তাঁর পক্ষে নেই, তা ভালোভাবেই জানেন প্রাক্তন কেনܫ্দ্রীয় মন্ত্রী।
রাজনৈতিক ব🍌িশেষজ্ঞদের বক্তব্য, উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কোলাজ হল ৭৯০ ভোটের। অর্থাৎ লোকসভার ৫৪৫ জন সাংসদ এবং রাজ্যসভার ২৪৫ জন সদস্য ভোটদান করবেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাজ্য বিধানসভার সদস্যরা ভোট দেন না। সেক্ষেত্রে সংসদের দুই কক্ষে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের পুরোপুরি রাজত্ব আছে।
সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে শুধুমাত্র বিজেপির ৩৯৪ জন সদস্য (লোকসভায় ৩০৩ জন, রাজ্যসভায় ৯১ জন) আছেন। যা 'ম্যাজিক ফিগার'-র থেকে বেশি। এনডিএ জোটের প্রার্থীদের ধরলে সেই সংখ্যাটা ৪৬২-তে ঠেকবে। সেইসঙ্গে আরও একাধিক রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাবেন ধনখড়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবিরের ১ౠ২ জন সাং🔯সদ, ওড়িশার শাসক দল বিজু জনতা পার্টির ২১ সাংসদ, মায়াবতীর ১১ জন সাংসদ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দলের ৩১ জন সাংসদ আছেন। অর্থাৎ উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ৫২৫ টি ভোট পেতে পারেন ধনখড়।
আরও পড়ুন: দিল♚্লিতে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করলেন প্রসেনজিৎ, এবার কী বুম্বাদা…জল্পনা তুঙ্গে
সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, একেবারে অসম যুদ্ধে নেমেছেন বিরোধী জোটের প্রার্থী মার্গারেট। আম আদমি পার্টি (আপ), এআইএআইএম, ঝাড়খণ্ড জনম💞ুক্তি মোর্চা (জেএমএম), এনসিপি, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল সমর্থন করলেও সংসদে এনডিএয়ের এতটাই দাপট যে তাঁর কিছু করার নেই। তারইমধ্যে আবার ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ময়দানে নামলে যে আকাশ-পাতাল তফাৎ হয়ে যেত, তেমনটা মোটেও নয়।
নয়া উপ-রাষ্ট্রপতি কবে শপথ নেবেন?
আগামী বৃহস্পতিবার (১১ অগস্ট) শপথগ্রহণ করতে পারেন নয়া উপ-রাষ্ট্রপতি। তবে সম্ভবত এবারের বাদল অধিবেশ💞নে রাজ্যসভার সভাপতিত্ব করতে প🦩ারবেন না তিনি। কারণ এবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাদল অধিবেশনে ইতি টানার পথে টানছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যা আদতে আগামী শুক্রবার (১২ অগস্ট) শেষ হওয়ার কথা ছিল।