এমনটাও হয়! স্কুটি নাকি অফিসটাইমের বাদুরঝোলা বাস সেটা বুঝতে পারবেন না। সেই ভিড়ে ঠাসা স্কুটির ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। একটি স্কুটিতে সাতজন শিশুকে চাপিয়ে মুম্বইয়ের রাস্তায় চালাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। এক টুইটার ব্যবহারকারী সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেন। আর এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। সেই ভিড়ে ঠাসা স্কুটি দেখেই পরে তা চি🔴হ্নিত করে মুম্বই পুলিশ। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি একটি স্কুটি চালাচ্ছিলেন। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সেই স্কুটারের সামনের দিকে দুটি বাচ্চা বসেছে। তারপরে বসেছেন স্কুটার চালক। সেটাও কোনওরকমে। এরপর পরপর চারজন স্কুটারের পেছনে বসেছে। শেষের জন্য প্রায় দাঁড়িয়ে। আর একꦆজন স্কুটারের পেছনের স্টিলের যে গার্ড থাকে তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভয়াবহ ব্যাপার। পথ নিরাপত্তা বিধির কোনও বালাই নেই। কারোর মাথায় হেলমেটও নেই। এতজন শিশুর প্রাণ নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলছেন তিনি।
এদিকে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর🍌েই চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি তোলেন নেটিজেনরা।
ওই টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছিলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যক্তি স্কুটিতে সাতজন বাচ্চাকে চাপিয়ে চালা🌼চ্ছে। সাতজন বাচ্চাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এই লোকটা। তাকে গ্রেফতার করা দরকার। এমনকী এই বাচ্চার বাবা মায়ের বিরুদ্ধ♐ে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এরপরই মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকেই ಞটুইটারে জানতে চাওয়া হয় ঠিক কোন জায়গায় এটা হয়েছে সেটাকে উল্লেখ করুন। পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এটা দরকার। টুইটার ব্যবহ✱ারকারী লেখেন এটা মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল ব্রিজ ( ইস্ট) এলাকার ঘটনা।
এদিকে নেটিজেনদের একাংশ দাবি তোলেন এই লোকটা𝐆 এতগুলি শিশুর জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যদি এই স্কুটারটির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় তবে এটি ছিটকে পড়ে যাবে। অন্য গাড়ির সঙ্গে ধাক্কাও লাগতে পারে।
তবে ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ওই স্কুটিটিকে চিহ্নিত করা হয়। স্কুটারটি যিনি চালাচ্ছিলেন তাকেও চিহ্নিত করা হয়। এরপর গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তার বিরুদ্ধে একেবারে কঠোরতম অভিযোগ আনা হয়েছে। মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে এই ব্যক্তি একাধিকজনের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিলেন। তাকে গ্রেღফতার করা হয়েছে।