অত্যন্ত উদ্বেগের ঘটনা। প্রশ্নের মুখে তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচির জেলাশাসক শ্রবণ কুমার জাটাভাথ। একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই জেলা শাসক তার এক সহযোগীকে যা বলেছিলেন তা নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে। মন্দিরে ঢোকার জন্য তার জুতোটা তাঁর সহযোগীকে বইতে বলেছিলেন। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।সূত্রের খবর, স্থানীয় মন্দিরে উৎসব হওয়ার কথা ছিল। সেই উৎসবের প্রস্তুতি দেখতে জেলাশাসক পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের নিয়ে গিয়েছিলেন। আগামী ১৮ এপ্রিল থেকে এখানে উৎসব হবে। সেখানে প্রতিবছর প্রচুর রূপান্তরকামীরা আসেন। এবার সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে গিয়েই অধস্তন সহকর্মীকে দিয়ে তিনি জুয়ো বইয়েছেন বলে খবর।এদিকে সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্য়েই ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেই ঘটনায় ওই আমলার ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সামনে মুখ খুলেছিলেন ওই আমলা। তিনি জানিয়েছিলেন, আমি দাফেদারকে আমার জুতো বইতে বলিনি। আর ওই ভিডিয়োটি এডিট করা হয়েছে। যে সমস্ত সাংবাদিকরা সেই সময় ওখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা জানেন ঘটনাটি সত্যি নয়। কেউ একজন যিনি ওখানে ছিলেন না এভাবে ভিডিয়ো তৈরি করে বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন।এদিেক ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলেও এনিয়ে শোরগোল পড়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতে, ওই আমলার সচেতন হওয়া দরকার। সাম্যতা, মানবিকতা নিয়ে তাঁর পাঠ নেওয়া দরকার।এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকের মতে জেলা শাসক প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পদে থাকলেও তিনি এভাবে তাঁর অধস্তন কর্মীকে দিয়ে জুতো বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ যেতে পারেন না। এটা তার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।এদিকে এর আগেও একবার এক মন্ত্রীর পায়ের জুতো বেঁধে দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মী। তা নিয়েও নানা চর্চা হয়েছিল। এভাবে তিনি আদৌ কাজ করতে পারেন কি না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কিছু ক্ষেত্রে আমলাদের একাংশ অধস্তনদের নিয়ে যে কাজ করান তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এবার অধস্তনকে দিয়ে জুতো বয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক। অভিযোগ এমনটাই।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup