♔ তাঁর সংস্থা ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে অনেকেরই! এই মুহূর্তে লাইমলাইটে চিনের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত স্টার্ট আপ ডিপসিক-র প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং। ৩৯ বছরের এই যুবকের সংস্থা কার্যত বিশ্ব বাজারে ঝড় তুলে দিয়েছে। এই ঝড় ঠিক তখনই উঠল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের মসনদে বসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তখতে বসেই তিনি হুঙ্কার দিচ্ছেন ,' যেসমস্ত দেশ বা সংস্থা আমাদের ক্ষতি করে তাদের উপর বিরাট শুল্ক চাপিয়ে দেব'। ঠিক এমন সময়ই চিনের এআই বাজার থেকে উত্থান ডিপসিকের। আর উত্থানেই কার্যত মার্কিন স্টক মার্কেটে কান্না ছুটিয়ে দিয়েছে ডিপসিক এআই।
𓃲সদ্য ডিপসিক আসার এক দিনেই মার্কিন বাজারে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।যে মার্কিন বাজার এআই নিয়ে প্রযুক্তিতে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে, মার্কিন মুলুকের সেই অস্ত্রেই কার্যত চিনের এই ডিপসিক, দাপট ধরে রাখার চেষ্টায় রয়েছে। এদিকে, মসনদে বসেই ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এআই-র ওপর খরচ করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। ঘোষণার পরেই এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচক দারুণ রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যায়। এনভিডিয়া কর্পোরেশন, মেটা আইএনসি, ওপেন এআইয়ের মত সংস্থাগুলিকে এক্ষেত্রে সামনের সারিতে রাখা ছিল। কিন্তু কার্যত খেলা ঘোরানোর মেজাজে ময়দানে নামে ডিপসিক এআই। এর প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং। চিনের এক সাধারণ স্কুল শিক্ষকের ছেলে লিয়াং আজ কার্যত গোটা দুনিয়ার সামনে নতুন এক জগতের দরজা খুলে দিয়েছেন! অন্তত এমনই ধারণা অনেকের। অত্যন্ত নজরকাড়া বিষয় এই যে, লিয়াংয়ের উত্থান এমন এক সময়ে আসে যখন উন্নত এআই চিপগুলিতে মার্কিন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কঠোর হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যারে চিনের থাবা বসানোর সুযোগ সীমিত করেছে। এসবের মাঝেই দেখা যাক, লিয়াং ওয়েনফেংর সফর।
লিয়াং ওয়েনফেং
ꦦচিনের গুয়াংডংজ-এ জন্ম লিয়াংর। এই এলাকা চিনের ব্যবসায়িক হাব! চিনের ঝেঝিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশোনা লিয়াংর।স্নাতোকোত্তরে তাঁর ডিসার্টেশন পেরার ছিল ‘Research on target tracking algorithm based on low-cost PTZ camera’।
🌳 ২০১৫ সালে তিনি এক কোয়ান্টিটেটিভ হেজ ফান্ডের সহ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তারপর বেশ কিছুটা পথ চলার পর জানানো হয়, ২০২৩ নাগাদ তারা এবার এআই-র দিকে ফোকাস বাড়িয়ে ঝুঁকবেন। আর সেই সময় থেকেই ডিপসিকের বীজবপন শুরু। চিনের নানান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও পিএইচডি পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয় সংস্থার টিম গঠন। তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল এআই-র সবচেয়ে কঠিন সমস্যাগুলির সমাধান। চিনের এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের ছেলে লিয়াং-র এই টিমই ধীরে ধীরে এআই-র জগতে নিজের কলেবর বাড়ায়। আজ যা বিশ্ব আঙিনায় ঝড় তুলে দিয়েছে।