কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রশ্ন করলেন, কেন ভারতীয় বায়ুসেনার (আইএএফ) আধ📖িকারিকদের হত্যাকারীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী? সেইসঙ্গে নাম না করে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন 🀅মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাহকেও তোপ দাগেন সীতারামন।
নয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের অবস্থা নিয়ে সম্প্রতি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তারপর থেকে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তারইমꦓধ্যে কেরালার কংগ্রেসের একটি টুইট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরে সেই টুইট মুছে ফেলা ဣহলেও বিতর্ক চলছে। সেই টুইট উদ্ধৃত করে সোমবার সংসদে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান সীতারামন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ভারতীয় বায়ুসেনার আধিকারিকদের হত্যাকারীর সঙ্গে কেন হাত মিলিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী? সেইসঙ্গে নয়ের দশকে ‘দুর্দশার’ সময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ছেড়ে দেওয়ায় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও তোপ দাগেন সীতারামন।
নিজের ভাষণে কারও নাম না করলেও সীতারামনের ইঙ্গিত যে মনমোহন সিংয়ের দিকে ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা ༒হয়নি রাজনৈতিক মহলের। ꧋২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাসভবনে জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। যে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনার চার আধিকারিককে খুনের অভিযোগ আছে। রুবিয়া সইদকে অপহরণ করার অভিযোগও আছে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে।
কেরালার কংগ্রেসের তরফে কী টুইট করা হয়েছিল?
একটি টুইটে কেরালার কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়েছিল, ‘সন্ত্রাসবাদী হামলার🍒 পরে পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে বিজেপির রাজ্যপাল জগমোহন তাঁদের জম্মুতে স্থানান্তরিত করতে বলেছিলেন। বিপুল সংখ্যক পণ্ডিত পরিবার নিরাপদ বোধ করেনি এবং ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে চলে যায়।’ কংগ্রেসের তরফে টুইটে আরও দাবি করা হয়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ১৭ বছরে ৩৯৯ জন কাশ্মীরি পণ্ডিত মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু ১৫,০০০ মুসলিম মারা গিয়েছেন।' যে টুইটে ‘#KashmirFiles vs truth’ হ্যাশট্যাগ ছিল।
সেই টুইট বিতর্কের মধ্যে কেরালার কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার বিဣধানসভার বিরোধী দলনেতা ভিডি সতীশন বলেন, ‘টুইটগুলির বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’ তিনি দাবি করেন, ‘এই ইস্যু সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা নেই। কেরালা কংগ্রেস বা ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) কোনও প্ল্যাটফর্মে এই ফিল্মের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেনি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ বিজেপি সাংসদ কে জে অলফোন্স দাবি করেন, কংগ্রেস এই বিষয়ে কিছুই বোঝে না। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ইতিহাস বোঝে না এবং তারা ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে বিকৃত ক💖রেছে। কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে লক্ষাধিক পণ্ডিত উপত্যকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।’