ট্রেনে যাত্রা করার সময় মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। অথচ মৃত স্বামীর পাশে থেকেও টের পেলেন না স্ত্রী। ১৩ ঘণ্টা ধরে মৃতদেহের সঙ্গে সফর করলেন। শুধু তাই নয়, মৃতের এক বন্ধু জানার পরেও পুরো যাত্রার সময় চুপ থাকলেন। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদ থেকে অযোধ্যাগা𒀰মী সবরমতী এক্সপ্রেসে। পরে ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলে মৃতদেহ উদ্ধার করে জিআরপি। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি।
আরও পড়ুন; ১ বছর ধরে মাযꦕ়ের দেহ আগলে রাখল ২ বোন, রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া বারাণসীতে
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রামকুমার। তিনি তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং সঙ্গী সুরেশ যাদবকে সঙ্গে নিয়ে সুরাট থেকে অযোধ্যাতে যাচ্ছিলেন। তারা ওই এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচে উঠেছিলেন। ট্রেনেই ঘ♏ুমিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু, কয়েক ঘণ্টা পরও তিনি না ওঠায় সন্দেহ সুরেশের। তিনি তাঁকে ঝাঁকাতে গিয়ে বুঝতে পারেন রামকুমার মারা গিয়েছেন। সুরেশের কথায়, যাত্রার সময় রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন রামকুমার। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ তিনি রামকুমারকে ঘুম থেকে ওঠানোর চেষ্টা করলেও তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি। তখন তিনি জানতে পারেন রামকুমারের মৃত্যু হয়েছে। রামকুমার ছিলেন অযোধ্যার এনায়েত নগরে অবস্থিত মাজলাই গ্রামের বাসিন্দা।
সুরেশের দাবি, তিনি বিষয়টি বুঝতে পাওয়ার পরেও রামকুমারের স্ত্রী এবং সন্তানকে এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। তার ধারণা ছিল, সেক্ষেত্রে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের ট্রেন যাত্রা ব্যহত হওয়ার সম্♑ভাবনা ছিল। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ট্রেনটি ঝাঁসির বীরাঙ্গনা লক্ষ্মীবাই রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছলে জিআরপির সহায়তায় রামকুমারের দেহ ট্রেন থেকে নামানো হয়। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।