ভারতে করোনাভাইরাসের দাপট শুর🃏ুর পর থেকে ট্রেন যাত্রায় ছাড় পান না প্রবীণ নাগরিকরা। ত🅷ার জেরে গত বছরের মার্চ থেকে প্রায় চার কোটি মানুষ পুরো ভাড়ায় ট্রেন যাত্রা করতে বাধ্য হয়েছেন। তথ্য জানার অধিকার আইনে (আরটিআই) এই বিষয়টি সামনে এসেছে।
মধ্যপ্রদেশের চন্দ্রশেখর গৌরের আরটিআইয়ের ভিত্তিতে ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের মার্চ থেকে চলতি ব🎃ছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৭,৮৫০,৬৬৮ প্রবীণ নাগরিক ভারতীয় রেলে যাতায়াত করেছেন। যাঁরা পুরো ভাড়া দিতে বাধ্য দিয়েছেন।
অতীতে ট্রেনের টিকিট কাটার সময় পুরুষরা (প্রবীণ নাগরিক) ৪০ শতাংশ এবং মহিলারা (প্রবীণ নাগরিক) ৫০ 💛শতাংশ ছাড় পেতেন। সেক্ষেত্রে ��পুরুষদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ৬০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ছিল ৫৮। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ট্রেনে যাতায়াত কমানোর জন্য সেই ছাড় তুলে দেয় ভারতীয় রেল। ট্রেন পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও যা এখনও চালু করা হয়নি।
সেই পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ফের ছাড় দেওয়ার নিয়ম চালু করার দাবি উঠছে। তাপস ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি বলেন, 'আমাদের যে ছাড় দেওয়া হয়, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা🌄 এমনিতে সেই টাকার বন্দোবস্ত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাঁরা ছাড়ের কারণে স্বস্তি পান। নিজেদের কোনও আয় না থাকায় অনেক বাড়িতেই প্রবীণ নাগরি🌌কদের সংসারের অচ্ছ্যুত হিসেবে ধরা হয়। ছাড়ের ফলে তাঁরা ট্রেনে যাতায়াত করতে পারতেন।' চলতি সপ্তাহে স্ত্রী'র সঙ্গে কলকাতায় আসার আগে ওই ব্যক্তি বলেন, 'স্বাভাবিক রেল পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে যখন, তখন কমপক্ষে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটে ছাড়ের বিষয়টি ফের চালু করা হোক।'