'আমি নিরামিষাশী, ননভেজ পিৎজা দিয়েছেন কেন?,' এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি মহিলাররেস্তোরাঁয় বা ফুড ডেলিভারি অ্যাপে কখনও কখনও অর্ডারের গন্ডগোল হয়। অর্ডার করা খাবারের বদলে অন্য কোনও ডিশ চলে আসে। সেরকমই হয়েছিল গাজিয়াবাদের দীপালি ত্যাগী নামে এক মহিলার। নিরামিষের বদলে আমিষ পিৎজা ডেলিভারি করা হয় তাঁকে। তারপরেই ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে উপভোক্তা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা।জোম্যাটো ডেলিভারি বয়ের ঘুসি-র কেস নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। তার মধ্যেই ২০১৯ সালের এই ঘটনা নতুন করে সংবাদের শিরোনামে এসেছে। অভিযোগকারী মহিলার দাবি, ওই দিন তিনি একটি নামী চেন রেঁস্তোরা থেকে ভেজ পিৎজা অর্ডার করেন।পিৎজা আসার পর খেতে যাবেন, এমন সময়ে গন্ধটা একটু অন্যরকম লাগে। ভাল করে দেখেই বুঝতে পারেন যে সেটি আসলে নন-ভেজ পিৎজা। সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। পিৎজা চেইনের জেলার ম্যানেজার তাঁকে ফোনে যা বলেন তাতে তিনি আরও অপমানিত বোধ করেন বলে দাবি করেছেন।মহিলার কথায়, 'ফোনে ওই ম্যানেজার ক্ষতিপূরণ হিসাবে বলেন যে আমার গোটা পরিবার তাঁদের রেঁস্তোরায় গিয়ে ফ্রি-তে যত খুশি খেয়ে আসতে পারবেন।''এতেই আমি ভীষণই অপমানিত বোধ করি। আমার সামাজিক বা আর্থিক অবস্থা এতটাও খারাপ নয়। আমি ফ্রি পিৎজা চাইনি। আমি এ বিষয়ে যাতে রেঁস্তোরা সঠিক পদক্ষেপ করে, সেটাই চেয়েছিলাম,' জানান ওই মহিলা।তিনি জানান যে, তাঁর ধর্মবিশ্বাসে আমিষ ছোঁয়াও পাপ। ঘটনার পর থেকে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। শুদ্ধিকরণ রীতিনীতিও পালন করতে হচ্ছে তাঁকে। এরপরেই দিল্লিতে উপভোক্তা আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। সেখানে রেঁস্তোরার বিরুদ্ধে মানসিক যন্ত্রণা সৃষ্টি ও অপমানজনক ব্যবহারের অভিযোগ করেন তিনি। ক্ষতিপূরণ হিসাবে এক কোটি টাকা দাবি করেন মহিলা। চলতি মাসেই চলছে সেই মামলার শুনানি।