ওভালে ২০২৩ সালের অ্যাশেজের পঞ্চম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানে পরাজিত করেছে ইংল্যান্ড। সিরিজটি ২-২ ড্রয়ে শ☂েষ হয়। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া টানা ষষ্ঠবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ জিততে পারল না। অস্ট্রেলিয়া শেষবার ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল ২০০১ সালে। সেবারে অস্ট্রেলিয়া ৪-১ সিরিজ জিতেছিল।
তবে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ায় বেশি দুঃখ নেই অজি অধিনায়ক প্য়াট কামিন্সের। সিরিজের শেষ টেস্ট হেরে ম্যাচের ফল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনඣে করি সিরিজের ফল ঠিকই আছে। দুটি উচ্চ-মানের দল, প্রতিটি সেশন ভাগ করা হয়েছিল, তাই আমি মনে করি ২-২ ফলটি ন্যায্য, এটি একটি দুর্দান্ত সিরিজ হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখানে জিততে এসেছিলাম, কিন্তু জিততে পারিনি ঠিক আছে। এটা একটা ভালো দিন ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাশেজ ধরে রাখার জন্য অত্যন্ত গর্বিত হতে পারি। তবে অবশ্যই আমরা এখানে এসে জিততে চেয়েছিলাম। ২০১৯ এর মতোই টিম ছিল।’
ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ১৬ জুন থেকে শুরু হয়েছিল এবারের বিখ্যাত টেস্ট সিরিজ অ্যাশেজ ২০২৩। এবার ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য এই সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ অস্ট্রেলিয়া গত ২২ বছর ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ ট্রফি ♋জিততে পারেনি। ক্যাঙ্গারু দল সর্বশেষ ইংল্যান্ডের মাটিতে এই ট্রফি জিতেছিল ২০০১ সালে।
২০০১ স🍬ালে, ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের সঙ্গে ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজে ৪-১ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজের কোনও ট্রফি জিততে পারেনি ক্যাঙ্গারু দল। এবারে অস্ট্রেলিয়া চেয়েছিল ২২ বছরের খরার অবসান ঘটবে। এর আগে ২০১৯ সালে,💙 এই ট্রফিটি স্বাগতিক ইংল্যান্ডে খেলা হয়েছিল, যেখানে উভয় দলই ২-২ ম্যাচ জিতেছিল এবং ড্র করে সিরিজ শেষ করেছিল। একই সময়ে, ২০২১-২২ সালে খেলা আগের ট্রফিতে, অস্ট্রেলিয়া তাদের স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলকে ৪-০ ফলে হারিয়েছিল। সিরিজের প্রথম তিন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে, তারপর চতুর্থ ম্যাচ ড্রতে শেষ হয়েছে এবং পঞ্চম ম্যাচে আবারও জয় পেয়েছিল ক্যাঙ্গারু দল। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এবার আর অ্যাশেজ জিততে পারল না অস্ট্রেলিয়া।
ওভালে খেলা পঞ্চম ও শেষ টেস্টের কথা বললে এই ম্য়াচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানে হারিয়ে সিরিজ ২-২ তে সমতায় আনে ইংল্যান্ড। ২০২৩ সালের অ্যাশেজের প্রথম দুটি ম্যাচ হারার পর বেন স্টোকসের দলের জন্য এটি একটি শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন ছিল। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে না গেলে ৩-🌄২ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারত ইংল্যান্ড। এই ম্যাচের কথা বললে, ৩৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৩৪ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ান দল। ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খোয়াজা ১৪০ রানের জুটি গড়ে ক্যাঙ্গারুদের ভালো সূচনা দিলেও বল পরিবর্তনে অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য বদলে যায়। ২৮ রানের মধ্যে ওয়ার্নার, খোয়াজা ও ল্যাবুশেনের মতো তিনটি সাফল্য পায় ইংল্যান্ড। এরপর স্টিভ স্মিথ এবং ট্র্༒যাভিস হেড ৯৫ রানের জুটি গড়ে দলকে কিছুটা সামলেছিলেন, কিন্তু তারা আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো অস্ট্রেলিয়ান দল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিততে ব্যর্থ হয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।