বুধবার এশিয়ান গেমসে ছেলেদের টি-২০ ক্রিকেট ইভেন্টে ব্যাটে-বলে অবিশ্বাস্য পারফর্ম্যান্ꦇস উপহার দেয় নেপাল। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে ধ্বংসাত্মক ক্রিকেট মেলে ধরে তারা। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন নেপালের কুশল মাল্লা। এছাড়া রোহিত পাউদেল ও দীপেন্দ্র সিং আইরি ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
ব্যাট হাতে আগুনে মেজাজের নিরিখে কুশল ও রোহিতকে পিছনে ফেলে দেন দীপেন্দ্র। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮টি ছক্কা🐠র সাহায্যে মাত্র ৯ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান তিনি। সেই সুবাদে গড়ে ফেলেন আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের সর্বকালীন নজির। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই সব থেকে কম বলে করা হাফ-সেঞ্চুরির নজির। দ্রুততম অর্ধশতরানের নিরিখে দীপেন্দ্র ভেঙে দেন যুবরাজ সিংয়ের বিশ্বরেকর্ড।
২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন যুবরাজ। সেই ম্যাচেই স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ৬টি ছক্কা হাঁকান যুবি। এবার থেকে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্র🉐িকেটে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড লেখা থাকবে নেপালের আইরির নামে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যুবরাজের মতো আইরিও এই ম্যাচে পরপর ৬𝐆টি ছক্কা মারেন, তবে এক ওভারে নয়। একটি ওভারে পরপর ৫টি ছক্কা হাঁকানোর পরে পুনরায় পরের ওভারে ব্যাট করতে এসেই ১টি ছয় মারেন দীপেন্দ্র।
প্রথম ইনিংসের ১৮.১ ওভারে মুনগানের বলে উইকেটকিপারের দস্তানায় ধরা পড়েন নেপালের ক্যাপ্টেন রোহিত পাউদেল। ২টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন রোহিত। নেপাল ২৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন দীপেন্দ্র। পরপর ২টি ওয়াইডের পরে মুনগানের ওভারের শেষ ৫টি বলে (১৮.২, ১৮.৩, ১৮.৪, ১৮.৫ ও ১৮.৬ ওভারে) পরপর ৫টি ছ🍎ক্কা মারেন আইরি।
ইনিংসের শে🔴ষ ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে কুশল মাল্লা স্ট্রাইক দেন দীপেন্দ্রকে। তিনি ব্যাটিংয়ে এসেই ১৯.২ ওভারে আর্ডেনেবুলগানের বলে ১টি ছক্কা মারেন। পরের বলে ২ রান নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রাখেন আইরি। ঠিক তার পরেই জোড়া ছক্কা (১৯.৪ ও ১৯.৫ ওভারে) হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। অর্থাৎ, ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে যে ৯টি বল খরচ করেন দীপেন্দ্র, তাতে তিনি সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৬, ৬, ৬, ৬, ৬, ৬, ২, ৬ ও ৬ রান।
শেষ পর্যন্ত ১০ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন আইরি। শুরুতে ব্যাট করে নেপাল নির্ধ🅠ারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৩১৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে, যা আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলগত ইনিংসের বিশ্বরেকর্ড। এই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে সব থেকে কম ৩৪ বলে সেঞ্চুরি করার বিশ্বরেকর্ড গড়েন নেপালের কুশল মাল্লা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।