এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতর পারফরম্যান্সের সারাংশ হল- গোলশূন্য এবং পয়েন্ট শূন্য। তিন ম্যাচেই হার। অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তানের পর সিরিয়ার কাছেও হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়♎াকে। মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সিরিয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে এএফসি এশিয়ান কাপ থেকেই ছিটকে গেল ভারত। একই সঙ্গে ভারতের জার্সিতে শেষ গোল করা হল না সুনীল ছেত্রীর। সম্ভবত এটাই দেশের জার্সিতে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট ছিল।
ম্যাচের পর দলের কোচ ইগর স্টিম্যাচ জানিয়ে দিয়েছেন, যে পরিকল্পনা নিয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে তারা খেলতে নেমেছিল, সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। যার জেরেই হারতে হয়েছে ভারতকে। ইগর বলেন, ‘এদিন আমাদের পরিকল্পনা ছিল গোল না খেয়ে ম্যাচটাকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত টেনে নিয়েꦯ যাওয়া এবং শেষ ৩০ মিনিটে পরিবর্ত খেলোয়াড়দের নামিয়ে ইতিবাচক কিছু পাওয়া। কিন্তু সেটা কার্যকরী হয়নি।’
সিরিয়ার বিরুদ্ধে ৭৬ মিনিট পর্যন্ত খেলার 💟ফল গোলশূন্য ছিল। জয়সূচক গোলটি করেন সিরিয়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚার ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ওমর খ্রবিন। তিনি বক্সের বাঁ দিক থেকে হেসারের ক্রসে বল পেয়ে গোলে শট নেন, যা ভারতের গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধুর ডানদিক দিয়ে মাটি ঘেঁষে জালে জড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জামশেদপুরও ক🐈িন্তু ধা🌟রাবাহিক ভাবে ম্যাচ জিতছে- সেমির আগে সমীহের সুর কুয়াদ্রাতের গলায়
এ দিন ম্যাচের ৬০ মিনিটের পর রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে নামেন সুরেশ ওয়াংজ🍎াম, সহাল আব্দুল সামাদ ও অনিরুদ্ধ থাপা। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে তাঁদের নামানো হয়েছিল, সেটা পূরণ করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। পরিবর্তে নামা প্লেয়ারদের মধ্যে একমাত্র উ🍒দান্ত সিংয়ের প্রশংসা করেন কোচ। বিরতির পরই নওরেম মহেশ সিংয়ের জায়গায় উদান্তকে নামিয়েছিলেন স্টিম্যাচ। তিনি বলেন, ‘একমাত্র উদান্ত এই সময় নেমে ভালো কিছু করতে পেরেছে। বাকিরা তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। এতেই আমরা শেষ হয়ে যাই।’
এই প্রথম এএফসি এশিয়া🅘ন কাপের মূলপর্বে কোনও গোল করতে পারল না ভারত। ২০১১-য় তিন গোল করেছিল ভারতীয় দল। ২০১৯-এ চার গোল করেছিল। কিন্তু এ বার সুনীল ছেত্রীদের গোলের সংখ্যা শূন্য। ২০১৯-এ একটি ম্যাচে জেতে তারা। চারটি গোল দিয়ে চারটি গোল খায়। গোল পার্থক্য ছিল শূন্য। ২০১১-য় গোলপার্থক্য ছিল -১০। সেবার ১৩ গোল খেয়েছিল তারা। কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি। কিন্তু এ বার এক ঝাঁক গোলের সুযোগ তৈরি করা সত্ত্বেও একটিও গোল করতে না পারায় ভারতীয় ফুটবলে এক নতুন সমস্যা উঠে এল।
স্টিম্যাচ বলছিলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে আমরা অনেক কিছু শিখলাম। তিনটে ম্যাচে আমরা প্রমাণ করেছি আমরা এই স্তরের প্রতিযোꦉগিতায় ভালো খেলতে পারি। শুধু একটা জায়গায় আমাদের খামতি থেকে গিয়েছে, তা হল গোল করার দক্ষতা। প্রতিপক্ষের গোলের সামনে আত্মবিশ্বাসের অভাব। ফাইনাল থার্ডে সিরিয়া আমাদের চেয়ে অনেক মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলেছে। এ জন্যই ওরা জিতেছে। আশা করি, এই শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা আমাদের পরের এশিয়ান কাপে আরও শক্♏তিশালী হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: ধারাবাহিকতা ধরে র♔াখাটাই আসল, গত মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে এটা মিসিং ছিল- ট্রফিই পাখির চোখ কু🥀য়াদ্রাতের
সঙ্গে স্টিম্যাচ যোগ করেছেন, ‘দল কিন্তু যথেষ্ট গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা জানি আমাদের ছেলেরা কেন আন্তর্জাতিক স🍌্তরে গোল করতে পারছে না। ভারতের ফুটবলাররা যখন আরও বেশি করে সেন্টার ফরোয়ার্ডের জায়গায় খেলবে, তখন তারা আরও বেশি গোল করতে পারবে। আমাদের দল যে অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়ার মতো উচ্চ মানের দলের বিরুদ্ধে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে, এটাই আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে। এ বার আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। সামনে আমাদের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব আছে। সে দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
সামনে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ। ভারতের গ্রুপে কাতার ও কুয়েত ছাড়াও রয়েছে আফগানিস্তান। ভারতের গ্রুপে তাদের চেয়ে ক্রমতালিকায় ওপরে থাকা একমাত্র দল কাতার। গত নভেম্বরে কুয়েত꧙ের মাঠে রীতিমতো দাপুটে ফুটবল খেলে কুয়েতকেই হারিয়ে বাছাই পর্বের অভিযান শ🌳ুরু করেছিল ভারত। শুরুতেই ১-০-য় জিতে প্রথম ম্যাচেই তিন পয়েন্ট পেয়েছিল। তবে তার সপ্তাহ খানেক পর ঘরের মাঠে কাতারের বিরুদ্ধে কোনও ইতিবাচক ফল পায়নি ভারত। বিশ্বের ৬১ নম্বর ফুটবল খেলিয়ে দেশের কাছে সুনীল ছেত্রীরা হারেন ০-৩-এ। মার্চে ভারত হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। এর পর জুনে কুয়েতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলার পর কাতারে যাবে ভারতীয় দল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।