ডার্বিতে অসহায় আত্মসমর্পণের পরে যে ‘কড়া ডোজ’♌ পড়েছিল, তা কাজে দিল। কিন্তু সেটা প্রথম ২০ মিনিটই। তারপর অতল গহ্বরে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল। আর সেটার সুবা𝔍দে আইএসএলে টানা ছ'টি ম্যাচে হারের লজ্জা এড়াতে পারল না লাল-হলুদ বাহিনী। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরে গেল। আর সেই হারের ফলে ছ'টি ম্যাচের শেষে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় একেবারে নীচেই থাকতে হল। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় সাত নম্বরে উঠে এল ওড়িশা। পাঁচটি ম্যাচের শেষে ওড়িশার ঝুলিতে আছে সাত পয়েন্ট। জিতেছে দুটি ম্যাচে। একটি ম্যাচে ড্র করেছে। হেরে গিয়েছে দুটি ম্যাচে।
প্রথম ১১ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল
অথচ মঙ্🔯গলবার যে ইস্টবেঙ্গল খুব খারাপ খেলেছে, অসহায় আত্মসমജর্পণ করেছে, তা মোটেই নয়। বরং ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিট রীতিমতো ওড়িশার উপরে ছড়ি ঘোরান মাদিহ তালাল এবং দিমিত্রিওস দায়মান্তাকসরা। গোলের সামনে আরও একটু বেশি ক্ষুরধার হতে পারলে নিদেনপক্ষে তো একটা গোল হয়েই যেত। ২-০ গোলেও এগিয়ে যেতে পারত।
পাঁচ মিনিটেই মহম্মদ রাকিপের দ𒐪ুর্দান্ত ক্রস থেকে সাইডভলি মারেন নꦓন্দকুমার। তাঁর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দেন অমরিবন্দর সিং। এক মিনিট পরেই ওড়িশার পতন রোধ করেন অধিনায়ক। বক্সের ডানদিক থেকে শট মারেন দায়মান্তাকস। সেটা গোলে ঢোকেনি।
তবে সেরা সুযোগটা এসেছিল ১০ মিনিটে। দুর্দান্ত ব্যাকহিলে বক্সের ডানদিকে পিভি বিষ্ণুকে বল ব🐲াড়ান নন্দ। বিষ্ণুর যে পাসটা বাড়ান, সেটা তেকাঠিতে রাখতে পারেননি দায়মান্তাকস। যদিও ওই শটটা বিষ্ণুর মারলে আরও বেশি ভালো হত। একটু ‘স্বার্থপর’ হলে ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়ে যেত꧃ে পারত। যে স্কোরলাইনটা হতে পারত এক মিনিট পরেই। কিন্তু তালালের শট রুখে দেন অমরিন্দর।
২২ মিনিটে পুরো খেলার গতির বিপরীতে গোল ওড়িশার
সেইসময় ইস্টবেঙ্গল পুরোপুরি ছড়ি ঘোরাচ্ছিল। কিন্তু ২২ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে রয় কৃষ্ণ গোল করার পরেই ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে ম্যাচের রাশ বেরি✨য়ে যেতে থাকে।𝓡 দু'মিনিট আগেই ওড়িশার তারকা প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। কিন্তু আনোয়ার আলির দুর্দান্ত ব্লকের কারণে বলটা জালে জড়ায়নি। তবে ২২ মিনিটে কোনও ভুল করেননি কৃষ্ণ।
আরও পড়ুন: ও মানসিক চাপে রয়েছ: আনোয়ার আলিকে নিয়ে ডার্বির পরে ইস্টবেঙ্গল-মোহ꧟নবাগান কর্তাদের অন্য লড়াই
লালকার্ড দেখেন প্রভাত
তারপর ওড়িশা খেলায় ফিরতে থাকে। প্রভসুখন গিল আর ইস্টবেঙ্🐟গলের জালে বল ঢুকতে দেননি। তারইমধ্যে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান দায়মান্তাকস। তবে শেষপর্যন্ত সেটা কাজে দেয়নি। ৬৯ মিনিটে মুর্তাদা ফলের দুর্দান্ত হেডারে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ওড়িশা। আর তার সাত মিনিট পরেই লালকার্ড দেখেন প্রভাত লাকরা। যা ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যাবর্তনের রাস্তাটা আরও কঠিন করে দেয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।