মঙ্গলবারের রাতটা সারা বিশ্বের আর্🌟জেন্তিনা ভক্তদের জন্য ছিল আবেগে পরিপূর্ণ। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে লিওনেল মেসির জাদুতে মুগ্ধ ফুটবল বিশ্ব। 𝐆তাঁর মাস্টারক্লাস পারফরম্যান্সের হাত ধরে আর্জেন্তিনা ষষ্ঠ বার ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। এটাই মেসির শেষ বিশ্বকাপ। তিনি নিজেই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সেই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তাই যেন শিরোপা জিততে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছেন মেসি।
আর্জেন্তিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও মেসির স্বপ্নকে নিজের করে নিয়েছেন। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে পুর🎉ো আর্জেন্তিনা শিবির যেন নতুন স্বপ্নের জাল বুনছে। স্কালোনি তাঁর স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে ডিফেন্ডারদের জাল থেকে বের হওয়ার অস্ত্রগুলো মেসির হাতে তুলে দিচ্ছেন। যা প্রয়োগ করে মেসি কিন্তু সাফল্যও পাচ্ছেন। গোল করছেন, গোল তৈরি করে দিচ্ছেন। চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করছেন আর্জেন্তাইন সুপারস্টার।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সের ২ তারকা অসুস্থ, মঙ্গলবারꦿ অনুশীলনও করেননি, মরক্কো ম্যাচের আগে চাপে দেশঁ
আর্জেন্তিনা নিজেদের স্বপ্ন পূরণের থেকে আর একটি ধাপ দূরে। ২০১৪ সালে শেষ বার তারা বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল। সেই বার জার্মানির কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসিদের। কিন্তু এই বার আর সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছে না আর্জেন্তিনা। তারা ফাইনাল জিতে স্বপ্ন পূরণ করতে চাইছ♑ে। বিশেষ করে মেসিকে শেষ বিশ্বকাপের বড় উপহার শিরোপা জিতেই দিতে চাইছেন আলভারেজরা।
আর লিও মেসিকে প্রতি মূহূর্তে তাতিয়ে রেখেছেন কোচ স্কালোনি। সেমিতে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে মেসির প্রতিটা মুভমেন🐷্টে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছিলেন। মেসি যখন পেনাল্টি থেকে গোল করে বাতিস্তুতাকে ছাপিয়ে যান এবং আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দেন, তখন স্কালোনি আনন্দে চিৎকার করা বা স্কোয়াডের সদস্যদের আলিঙ্গন করা বা ডাগআউটের চারপাশে লাফালাফি করে বেরানো- এ সব কিছুই করছিলেন না। বরং তিনি তাঁর চেয়ারেই বসেছিলেন। তাঁর চোখ ভিজে এসেছিল। এক প্রশান্তির ছাপ ছিল তাঁর চোখেমুখে। তিনি কখনও এ♕কটি বোতল থেকে জল চুমুক দিচ্ছিলেন, পর মুহূূর্তে অন্যটি থেকে। উচ্ছ্বাসটা চেপে আবেগে বয়ে গিয়েছিলেন স্কালোনি। তাঁর বিশ্বাস ছিল, মেসি ঠিক নিজের দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
স্কালোনির ভাবনা এতটুকু ভুল ছিল না। ম্যাচ যত গড়ি𝓡য়েছে, আর্জেন্তিনা অধিনায়ক সেই সঙ্গে তাঁর খেলাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন। আর্জেন্তিনার পরবর্তী দু'টি গোলে মেসি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। জুলিয়ান আলভারেজকে দিয়ে গোল করিয়েছেন মেসি। এবং এই টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার গ্যাভারদিওলকে ড্রিবল করে দুরন্ত সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন এলএমটেন♍। যার থেকে গোল একেবারে নিশ্চিত ছিল।
আরও পড়ুন: মেসির ম্যাজিক-আলভারেজের চমক, ক্রোটদের হারিয়ে ৮ বছর পরে আবার ফাইনালে আর্জেন্𓆉তিনা
ম্যাচের পর স্কালো🉐নি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মেসি যে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার এটা নিয়ে আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই। অনেকেই ভাবতে পারেন, আমরা আর্জেন্তা🐻ইন বলে হয়তো কথাটা বলি। কিন্তু আসলে তা নয়। যখনই ও মাঠে নামে কোনও না কোনও সুযোগ তৈরি করবে। ওকে খেলতে দেখাটাই, ওর সতীর্থ, আর্জেন্তাইন সমর্থক, পুরো বিশ্বের জন্য বড় এক অনুপ্রেরণা। ওকে কোচিং করাতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৩-০ সহজ জয় পেয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে আর্জেন্তিনা। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে স্কালোনিকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। নিঃসন্দেহে আনন্দাশ্রু। তিনি সরাস𒁏রি মেসির কাছে চলে যান এবং তাঁকে উষ্ণ আলিঙ্গন করে ছেলেমানুষের মতো কেঁদে ফেলেন। পুরো ম্যাচে শান্ত হয়ে নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করলেও, ম্যাচ শেষে তাঁর চোখের জল বাঁধ মানেনি। মেসিও এই আনন্দের আশ্রু বয়ে যেতে দেন। চুপ করে স্কালোনি জড়িয়ে ধরে তিনিও আবেগে ভেসে যান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।