ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি𓂃 হিসেবে খেলোয়াড় এবং কোচ- দুই ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে কিংবদন্তির মর্যাদা পাওয়া সেই মারিয়ো জাগালো প্রয়াত হলেন ৯২ বছর বয়সে। তাঁর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া বিবৃতির মাধ্যমে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনেক দুঃখের সঙ্গে আমরা চার বারের বিশ্বকাপজয়ী মারিয়ো জর্জে লোবো জাগালোর মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি।’
ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড প্রথম জাগালোই গড়েছিলেন। ১৯৫৮ এবং ১৯৬২ ফুটবলার হিসেবে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালে ক𓆉োচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ব্রাজিলকে। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি।🃏 বিশ্বকাপজয়ী দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম কোচ জাগালো। ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের সহকারী ম্যানেজার ছিলেন জাগালো।
১৯৫৮ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলের সেই দলটির জীবিত একমাত্র সদস্য হিসেবে এত দিন বেঁচে ছিলেন জাগা🥀লো। ফুটবল-বিশ্বে ব্রাজিলের বড় শক্তি হিসেবে উঠে আসার পথে অবিস্মরণীয় ভূমিকা ছিল তাঁর। ১৯৫৮ সালে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ জিতে ৮ বছর আগেরℱ সেই ‘মারাকানা ট্র্যাজেডি’ মাটিচাপা দিয়েছিল ব্রাজিল।
জাগালোর জন্ম ১৯৩১ সালে। তিনি সেনাবাহিনীতেও যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৫🌳০ সালের বিশ্বকাপে মারাকানা স্টেডিয়ামে রক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৯ বছরের জাগালো। ৮ বছর পর তিনিই ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনে দেন পেলের সতীর্থ হিসেবে খেলে।
বেঁচে থাকতে জাগালো মারাকানা ‘দুঃখগাথা’ নিয়ে বলেছিলেন, ‘উরুগুয়ের♈ কাছে সেই দুর্ভাগ্যজনক হারে আমি মারাকানায় ছিলাম। আমি ছিলাম সৈন্যের ভূমিকায়, লোকজনকে মাঠে ঢুকতে না দেওয়া ছিল আমার দায়িত্ব। সেই হারের নিস্তব্ধতা, দুঃখ এবং হতাশা আমি কখনও ভুলতে পারব না।’ ব্রাজিল দলে জাগালোর কিংবদন্তি সতীর্থ পেলে গত বছর ডিসেম্বরে প্রয়াত হন এক বছর পর প্রয়াত হলেন জাগালোও।
জাগালোর ব্রাজিল দলে অভিষেক হয়েছিল ২৬ বছর বয়সে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপ শুরুর কিছু দিন আগে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তাঁর। তবে এর পর থেকেই জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ৩৭টি ম্যাচ। ১৯৫৮ বিশ্বকাপকে বলা হয় পেলের উত্থানের টুর্নামেন্ট। কথাটা যেমন সঠিক, তেমনই জাগালোর অবদানও খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। সুইডেনের বিপক্ষে ফাইনালে ৫-২ জিতেছিল ব্রাজিল। ফাইনাল ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করার পাশাপাশি পেলেকেও একটি গোল করতে সহয়তা করেছিলেন তিনি। চার বছর পর ১৯৬২ বিশ্বকাಞপে ব্রাজিলের হয়ে প্রতিটি মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। সে বিশ্বকাপও গ্যারিঞ্চার প্রায় একক নৈপুণ♓্যে জিতেছিল ব্রাজিল। ১৯৬৫ সালে অবসর নেওয়ার পর বোটাফোগো কোচের দায়িত্ব নেন। ব্রাজিল তখন সামরিক শাসনের অধীনে। এর মধ্যেই বোটাফোগোকে দু'বার স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতান।
১৯৭০ বিশ্বকাপে কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন ৩৮ বছর বয়সী জাগালো। পেলে, রিভেলিনো, তোস্তাও, জর্জিনিয়ো, কার্লোস আলবার্তোদের নিয়ে গড়া সর্বকালের অন্যতম সেরা সেই ব্রাজিলকে তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন কোচ জাগালো। একཧবার তিনি বলেছিলেন, ‘কোচ হিসেবে সেটাই আমার সেরা স্মৃতি।’ এর পর কুয়েতের ফুটবলে গিয়ে ১৯৭৬ সালে জিতেছেন গলফ কাপ। সে বছর উঠেছিলেন এশিয়ান কাপের ফাইনালেও।
১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে ব্রাজিল জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে ডাক পড়ে জাগালোর। কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরার সঙ্গে জুটি বেঁধে সে বার ব্রাজিলের চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ অবদান ছিল জাগালোর। ফাইনালে ইতালিকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল ব্রাজিল। ৪ বছর পর ব্রাজিল কোচ হিসেবে ফ্রান্স বিশ্বকাপে গিয়ে অবশ্য ফাইনালে হতাশ হﷺতে হয়। ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে ফাইনাল হেরেছিল ব্রাজিল। লুইস ফিলিপ স্কোলারি ব্রাজিলকে ২০০২ বিশ্বকাপ জেতানোর পর, কিছু দিন অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন জাগালো।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।