২০২-২১ মরশুমের গোয়ার মারগাওতে অনুষ্ঠিত আইএসএলের ফাইনালের হারটা এখনও মোচড় দিয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মনে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মুম্বই সিটি এফসি-র বিপিন সিং-এর করা গোলে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। শিরোপা জয়ের🗹 স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছিল। সেই ক্ষত এখনও দগদগে। আর তাতে প্রলেপ লাগানোর বড় সুযোগ থাকছে শনিবাসরীয় যুবভারতী।
৪মে, ২০২৪- আরও একটি আইএসএল ফাইনাল। ফের মুখোমুখি মোহনবাগান এবং মুম্বই। তবে এবার ম্যাচটি হতে চলেছে বাগানের ঘরের মাঠ যুবভারতী স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচেই বদলার ꦕবৃত্ত পূরণ করে ফেলতে চায় আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের টিম। ইতিমধ্যে আইএসএলের লিগের শেষ ম্যাচে মুম্বইকে হারিয়ে শিল্ড জিতে একটি বদলা ✅পূরণ করেছে মোহনবাগান এসজি। সামনে দ্বিতীয় লক্ষ্য। প্রসঙ্গত, ২০২-২১ মরশুমে বাগানের সমান পয়েন্ট নিয়ে, শুধুমাত্র গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকার সুবাদে শিল্ড জিতেছিল মুম্বই। কপাল চাপড়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এবার প্রতিশোধের ষোলকলা পূরণ করে ফেলতে চান শুভাশিস বসুরা।
আরও পড়ুন: অতীতেও কিন্তু মুম্বইয়ের কাছে ফাইনালে হেরেছি- নিজেদের ফেভ༺ারিট মানতে নারাজ হাবাস
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নামার আগে, বাগানের প্লেয়ারদের বডিল্যাঙ্গোয়েজেই আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। আর এই আত্মবিশ্বাসটা এসেছে টিম হিসেবে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার জন্য। এই একতাই বাগানের এই মুহূর্তে আসল শক্তি। তাই ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার সাংবাদিক সম্𒁃মেলনে এসে শুভাশিস অনায়াসে বলে দিলেন, ‘মরশুমের শুরুতে আমরা একটা গ্রুপ বা দল ছিলাম। মরশুমের শেষে এসে এখন আমরা একটা পরিবার হয়ে উঠেছি। সেই কারণেই আমরা লিগ শিল্ড জিততে পেরেছি। ফাইনালেও আমরা পরিবার হিসেবেই মাঠে নামব এবং নিজেদের উজাড় করে দেব।’ পরিবার হয়ে ওঠার এই আত্মবিশ্বাসটাই তো তাতিয়ে রেখেছে সবুজ-মেরুনকে।
আরও পড়ুন: যুবভার💯তীতে দর্শকেরা কোনও প্রভাব ফেলত🐬ে পারবে না- বাগানকে সমীহ করেও হুঙ্কার মুম্বই কোচের
দিমিত্রি পেত্রাতোসও বলতে দ্বিধা করেননি, ‘কলকাতা আমার নিজের ঘরের মতোই।ܫ ভারতে ফুটবল খেলা𝓀 আমি উপভোগ করি। এখানকার স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে খেলেছি, এটা আমার কাছে অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। সব কিছু খুব স্বতঃস্ফূর্ত মনে হয়েছে।’
আক্রমণের তুলনায় কিছুটা দুর্বল রক্ষণ। শুরুতে এগিয়ে গেলেও প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই গোল হজম করছে মোহনবাগান। মুম্বইয়ে ছাংতে൩, বিপিন, পেরেরা দিয়াজ, নোগুয়েরার মতো ফুটবলাররা রয়েছেন। ক্লিনশিট রাখার বিষয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী বাগানের রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ। শুভাশিস সাফ বলে দিলেন, ‘আমরা কোচের প্ল্যান অনুযায়ী খেলব। জানি বিপক্ষে :ছাংতে, বিপিনের মতো ফুটবলার আছে। তবে আমরা গোল না খাওয়ার চেষ্টা করব। ক্লিনশিট রাখাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দলের অন্যতম বৈশিষ্ট, আমরা একসঙ্গে খেলি। দল একসঙ্গে রক্ষণ সামলায়, এবং একসঙ্গে আক্রমণ করে। গোল হলে সেলিব্রেট করতে আমিও ছুটে যাই। গোল হজম করলে দিমিরও মন খারাপ হয়। আমাদের ড্রেসিংরুমে কেউ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে, অন্যরা তাঁকে উজ্জীবিত করে তুলি। আমরা ফাইনালেও দল হিসেবেই খেলব। আশা করছি সফলও হব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।