লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো- সর্বকালের সেরা দুই ফুটবলার। রোনাল্ডো এবং মেসি- দু'জনেই অসংখ্য ব্যক্তিগত এবং দলগত পুরষ্কার জিতেছেন। ൲পাশাপাশি তাঁরা অসংখ্য রেকর্ড ভেঙেছেন, আবার গড়েওছেন। তাঁরা ২০ বছর ধরে ফুটবল বিশ্বকে আনন্দ দিয়েছেন। তবে এই দুই তারকার মধ্যে কে সেরার সেরা, এই নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বিতর্ক চলছে, এবং এর কোনও উত্তর মেলেনি।
সম্প্রতি টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল এ🎃ই নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন। রাফা কিন্তু রীতিমতো ফুটবল ভক্ত। সুযোগ পেলেই ফুটবল ম্যাচ দেখতে বসে যান। এবং তাঁর ফুটবল প্রেমের কথা যেহেতু কারও কাছে অজানা নয়, তাই প্রায়শই ফুটবল সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় নাদালকে।
আরও পড়ুন: ক্রীড়ামন্ত্রকের ছাড়ে🦄র অপে🎃ক্ষা, সুনীলের অধিনায়কত্বে এশিয়াডে দল পাঠাতে চায় AIFF
চোটের কারণে নাদাল এখন টেনিস কোর্টের বাইরে। উইম্বলডনের অংশ নিতে পারেননি ২২টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী তারকা। সম্প্রতি নাদাল ছুটি কাটাতে গ্রিসে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েও ফুটবল নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্💎রশ্নের মুখে পড়লেন তিনি। ভক্তরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ফুটবলের সেই মেসি না রোনাল্ডো, কে সেরা?
উত্তরে কোনও রকম রাখঢাক না করে নাদালের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘আমার দৃষ্টিতে রোনাল্ডোর চেয়ে এগিয়ে মেসি। তবে আমি রিয়াল মাদ্রিদের ভক্ত।’ রোনাল্ডো একটা সময়ে চুটিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে খেলেছেন। আর মেসি ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনায়। তবে ক্লাব সমর্থনের বাইরে গিয়ে প্লেয়ার নৈপুণ্যের নিরিখে জবাব দিয়েছেন নাদাল, সেটা বোঝা🌳তেই তিনি নিজেকে রিয়াল সমর্থক বলে দাবি করেছেন।
দু’জনের বয়সে ২৮ মাসের পার্থক্য থাকলেও ফু♐টবলজীবন তুঙ্গে উঠেছে একই সময়ে।🐼 ২০০৭-এ ব্রাজিলের কাকা বালন ডি'ওর জেতার বছরে রোনাল্ডো ছিলেন দ্বিতীয়, তার পরেই মেসি। পরের বছরই রোনাল্ডো এই পুরস্কার জেতেন। মেসি ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। ২০০৯-এ রোনাল্ডোকে পিছনে ফেলে মেসির হাতে ওঠে ব্যালন ডি'ওর। সেই বছরই ম্যান ইউ ছেড়ে রিয়ালে যোগ দেন রোনাল্ডো। দুই ফুটবলার হয়ে ওঠেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।
কী দিয়ে সেরার বিচার করা যেতে পারে? অনেকে গোলসংখ্যার কথা বলবেন। প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ফুটবলে ধারাবাহিক ভাবে গোল করে যাওয়া ফুটবলারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সে দিক থেকে এগিয়ে থাকবেন রোনাল্ডো। তবে এ ক্ষেত্🦂রে তাঁকে সাহায্য করবে পেনাল্টি নেওয়ার দক্ষতা। পেনাল্টি নিয়ে রোনাল্ডোর গোলসংখ্যা এই মুহূর্তে ৮৩৮। মেসির ৮০৭। কিন্তু পেনাল্টি বাদ দিলে মেসি এগিয়ে থাকবেন। আর্জেন্তিনার ফুটবলারের গোল ৬৬০। রোনাল্ডোর ৬৫৭। মাথায় রাখতে হবে রোনাল্ডোর পেশাদার জীবনের দৈর্ঘ্য মেসির থেকে বেশি।
আরও পড়ুন: কামিন্সকে আটকাতে জোড়া ফলা ইস্টবেঙ্গলের, স্পেন, অস্ট্রেল꧟িয়া থেকে আসছেন দুই বিদেশি
এ ছাড়া অ্যাসিস্ট,💟 অর্থাৎ সতীর্থকে দিয়ে গোল করানোর ক্ষেত্রে মেসি অনেকটাই এগিয়ে। রোনাল্ডো ভাল গোলদাতা হতে পারেন।কিন্তু ভাল গোলদাতার পাশাপাশি সুযোগ তৈরির বিচারে এগিয়ে মেসি। রোনাল্ডো এ ক্ষেত্রে এক সময় টক্কর দিতেন ভালোই। কিন্তু ২০১৫ থেকে হাঁটুর চোটে ভোগার পর থেকে তিনি নিজের পজিশন পাল্টে নেন। উইং থেকে সরে এসে ফরোয়ার্ডে খেলতে থাকেন। তখন গোল করানোর থেকে, গোল করাটাই তাঁর মূল কাজ হয়ে ওঠে। সেখানে মেসি এখনও কিছুটা পিছন থেকে খেলেন এবং গোল করাতে ভালোবাসেন। তাই তাঁর অ্যাসিস্টও বেশি।
তবে অতীতে তারকা ফুটඣবলারদের থেকে মেসি এবং রোনাল্ডোর মূল বৈশিষ্ট্য হল, দু’জনেই টানা দু’দশক ধরে খেলে যেতে পেরেছেন। মেসি, রোনাল্ডোর আগে এতটা দীর্ঘ সময় ধরে ফুটবলপ্রেমীরা তারকাপুজো করেননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।