বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ। এই দুই তারকা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং বিরোধীদের ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছে। রোহিত এবং বিরাট ভারতের হয়ে ভিন্ন পজিশনে ব্যাট করলেও, তাঁদের খেলার ধরন অনেকটা একই রকম। তাঁরা ধীর গতিতে শুরু করে, সেট হয়ে নিয়ে তার পরে আগুনে মেজাজ ধারণ করে ধ্বংসলীলা চালান। 💛তাঁরা যে ভাবে তাঁদের স্ট্রাইক রেটকে বদলে ফেলেন, সেটা থেকে সমস্ত উদীয়মান ক্রিকেটাররা অনুপ্রেরণা পেতে পারেন। তবে সম্প্রতি সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাট থেকে আপাতত তাঁদের দূরে রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে বাজে ভাবে ১০ উইকেটে ভারতের হারের পর থেকে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে বিসিসিআই (বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের লাগাম হার্দিক পাণ্ডিয়াকে হস্তান্তর করেছে। তিনি এবং তাঁর তরুণ ভারতীয় দলকে সামনে রেখেই পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অর্থাৎ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা ছকতে শুরু করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। অনেক ক্রিকেট পণ্ডিতই ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার স্টাইলকে ‘সেকেলে’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যে কারণে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটি পরিবর্তন 🌠করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মধ্যে IPL-এর ৫০ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান, সচিনের রেকর📖্ড ღগুঁড়িয়ে দিলেন রুতুরাজ
এ দিকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা, যখন ২০২৩ আইপিএলের স্ট্রাইক রেট নিয়ে কাটাছেড়া চলছিল, তখন আঙুল উঠেছিল বিরাট কোহলির দিকেও। যে সব প্লেয়ারদের স্ট্রাইকরেট কম, তাঁদের নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে ঘুরেফিরে আসছিল কোহলির নাম। রয়্য়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি তখন নিন্দুকদের এক হাত নিয়ে ব্যাখ্যা করেছিলেন, কেন তিনি বিশ্বাস করেন যে, অ্যাঙ্করের ভূমিকাটাও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও গুরুত্বপূর্ণ। বিরাট কোহলি বলেছিলেন যে, বাইরের লোকেদের পক্ষে বোঝা কঠিন, কেন ব্যাটাররা মাঝে মাঝে ধীর গতিতে ব্যাটিং করেন। বিশেষ করে একটি শক্তিশালী পাওয়ার-প্লে অর্থাৎ ৬ ওভার শেষ হওয়ার পরে। তবে কোহলির সঙ্গে এক মত হতে পারেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁর দাবি, টি-টোয়েন্টিতে এখন কোনো অ্যাঙ্কারের ভূমিক🐓া নেই।
আরও পড়ুন: আমি জানি, কোন জায়গা থেকে 🌄এসেছি, আজ যারা মাথায় তুলবে, কাল তারাই গালি দেবে: রিঙ্কু
কোহলি জিও সিনেমাতে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘নিশ্চিত ভাবেই অ্যাঙ্করের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমি এর সাথে পুরোপুরি একমত। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজেরা সেই পরিস্থিতিতে না থাকার কারণে, খেলাটিকে অন্য ভাবে দেখেন। যখন পাওয়ারপ্লে শ๊েষ হয়ে যায়, তখন সকলে ভাবে, কেন গতি কমে গেল। যখন পাওয়ার-প্লেতে একটিও উইকেট পড়ে না, তখন সাধারণত সেরা খেলোয়াড়রা বোলিং করতে আসে। তখন প্রথম দুই ওভারে বুঝতে হয়, তাদের বিরুদ্ধে কী করতে হবে, যাতে সেই বোলারদের বিরুদ্ধে বড় রান সংগ্রহ করা করা যায়। এবং এর পর ইনিংসের বাকি কাজগুলি আরও সহজ হয়ে যায়।’
রোহিত শর্মা আবার জিও সিনেমাতে অন্য মত পোষণ করে বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে এখন অ্যাঙ্কারের কোনও ভূমিকাই নেই, যদি না কোনও দল ২০/৩ হয়ে বসে থাকে। যেটা রোজ রোজ ঘটে না। আপনি যদি আপনার মানসিকতা পরিবর্তন না করেন, তা হলে বিরোধী দল খেলাটিকে পরবর্তী স্তরে নি𓂃য়ে যাওয়ার কারণে আপনি ধাক্কা খাবেন। আমি বর্তমানে যে ভাবে আছি, সে ভাবে খেলতেই পছন্দ করি। কিন্তু আমি আলাদ🔯া কিছুও চেষ্টা করতে চাই।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।