আইপিএল ২০২৩-তে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন বহু আনক্যাপড ভারতীয় ক্রিকেটার। ব্যাটিং অর্ডার ও কম্বিনেশন অনুযায়ী উপযুক্ত ১১ ဣজন ঘরোয়া ক্রিকেটারকে নিয়ে বেছে নেওয়া হল একটি আনক্যাপড ভারতীয় একাদশ, যাঁদের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামানো যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন জায়গার জন্য সেই 🌊দলে সুযোগ পেতে পারেন কারা।
যশস্বী জসওয়াল: যশস্বী জসওয়াল যে আনক্যাপড ভারতীয় এ🦂কাদশের প্রথম পছন্দের ওপেনার হবেন, সে বিষয়ে দ্বিমত থাকা উচিত নয় কারও মনে। এবছর রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রান সংগ্রহ করেন যশশ্বী। ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি।
অভিষেক শর্মা/প্রভসিমরন সিং: দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অভিষেক শর্মা ও পঞ্জাব কিংসের প্রভসিমরন সিংয়ের মধ্যে কোনও একজনের জায়গা হবে এই দলে। অভিষেকের বলের হাত মন্দ নয়। তিনি হায়দরাবাদের হয়ে ১♓১ ম্য়াচে ২২৬ রান সংগ্রহ করেছেন ও ২টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন শর্মা। প্রভসিমরন সিং এবছর ১৪টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৩৫৮ রান সংগ্রহ করেন। ১টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি।
তিলক বর্মা: ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে তিলক বর্মা যথাযথ বিকল্প। এবছর ১১টি ম্যাচে মাঠে নেমে তিলক ৩৪৩ রান সংগ্রহ করেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন ১টি। ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার বিরল দক্ষতা রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়𝐆ান্সের এই তরুণ তুর্কির।
জিতেশ শর্মা (উইকেটকিপার): পঞ্জাব কিংসের জিতেশ শর্মা এবছর ১৪টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ৩০৯ রান ♕সংগ্রহ করেন। তিনি উইকেটকিপার হিসেবে দলে থাকবেন। মাঠে নেমেই বড় শট নিতে পারেন বলে মাঝের ওভারে রানের গতি বজায় রাখতে পারবেন জিতেশ।
রিঙ্কু সিং: পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের ইনিংসকে শেষ পর্যন্ত টেনেಞ নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রিঙ্কু সিংয়ের। ফিনিশার হিসেবে সেরা বিকল্প কেকেআরের রিঙ্কুই। এবছর রিঙ্কু ১৪টি ম্যাচে ৪৭৪ রান সংগ্রহ করেছেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ৪টি। তিনি সাকুল্যে ২৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
নেহাল ওয়াধেরা: তিলক বর্মা চোট পাওয়ার পরে এবছর উপরের দিকে ব্যাট করতে♉ নেমে পরপর ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন নেহাল। তবে লোয়ার অর্ডারে ঝো🍒ড়ো ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসে কার্যকরী অবদান রাখার ক্ষমতা রয়েছে নেহালের। তাই ব্যাটিং অর্ডারের ছয় নম্বরে তিনি যথাযোগ্য। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে এবছর ১০টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৪১ রান সংগ্রহ করেন নেহাল।
রাহুল তেওয়াটিয়া: এবছর ব্যাট হাতে গুজরাটের পারফর্ম্যান্সে খুব বেশি অবদান রাখার সুযোগ পাননি রাহুল তেওয়াটিয়া। ১০টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৭ রান করেন ত🌺িনি। যদিও ৬টি ম্যাচে নট-আউট থাকেন রাহুল। গোটা টুর্নামেন্টে তিনি খেলেন মাত্র ৫৭টি বল। আসলে ডেথ ওভারে চাপের মুখে পরপর বড় শট খেলে ম্যাচ জেতাতে ওস্তাদ তেওয়াটিয়া। সেই দক্ষতার জন্যই আনক্যাপড ভারতীয় একাদশে জায়গা পাবেন তিনি। তাছাড়া তেওয়াটিয়ার বলের 🦄হাতও খারাপ নয়।
হরপ্রীত ব্রার: টেল এন্ডার হিসেবে ব্যাট করতে নেমে বড় শট খে🐟লার ক্ষমাতা রয়েছে হরপ্রীতের। সঙ্গে বাঁ-হাতি স্পিন বোলিংয়ে তিনি নিজের জাত চিনিয়েছেন ইতিমধ্যেই। এবছর পঞ্জাব কিংসের হয়ে ৮টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫২ রান করেছেন হরপ্রীত। ১১টি ইনিংসে বল করে উইকেট নিয়েছেন ৯টি।
মহসিন খান/যশ ঠাকুর: লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই পেসার মহসিন ও যশ ঠাকুর একটি জায়গাꦺর জন্য লড়াই চালাবেন। মহসিন খান চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেই দলের পারফর্ম্যান্সে নিজের প্রভাব রেখেছেন। তিনি ৫টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ডেথ ওভারে বল করার দক্ষতাই তাঁকে এই দলে জায়গা করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। অন্যদিকে যশ ঠাকুর এবছর ৯টি ম্যাচে মাঠে নেমে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর পারফর্ম্যান্সকেও অস্বীকার করা যাবে না।
আকাশ মাধওয়াল: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পেসার আইপিএলে আবির্ভাবেই যে রকম চমক দেখিয়েছেন, তাতে সেরা একাদশে আꦺকাশ মাধওয়ালের জায়গা পাওয়া নিশ𒁏্চিত। এবছর ৮টি ম্যাচে মাঠে নেমে ১৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এলিমিনেটরে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন আকাশ।
তুষার দেশপান্ডে: প্রতি ম্যাচেই বেশ কিছু রান খরচ করেছেন দেশপান্ডে, তবে উইকেটও নি♎য়েছেন পাল্লা দিয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার উইকেটটেকিং বোলার হিসেবে এবারের আইপিএলে নিজের পরিচিতি তৈরি করেন। ১৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে তিনি ২১টি উইকেট দখল করেন।
সুয়াশ শর্মা (দ্বাদশ ক্রিকেটার): দ্বাদশ প্লেয়ার হিসেবে নিশ্চিতভাবেই এই দলে নাম থাকবে কেকেআরের সুয়াশ শর্মার। আইপিএলে আবির্ভাব মরশুমেই কলকাতার হয়ে ১১টি ম্য🌱াচে মাঠে নেমে ১০টি উইকেট নেন সুয়াশ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।