অবশেষে স্বপ্ন পূরণ। সার্বিয়া তারকা টেনিস প্লেয়ার নোভক জোকোভিচ অবশেষে যেন অধরা মাধুরী স্পর্শ করলেন। অলিম্পিক্সে সোনা না পাওয়ার আক্ষেপটা পূরণ করে ফেললেন পুরুষদের টেনিসে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী তারকা। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সে টেনিসে পুরুষদের সিঙ্গলস ইভেন্টে সোনা জিতে নিজের স্বপ্ন পূরণ করলেন জোকার। সেই সঙ্গে তিনি স্পেনের কার্লোস আলকারাজকে পরাজিত করে, এক মাসের🐽ও কম সময়ের মধ্যে উইম্বলডনের ফাইনালে হারের প্রতিশোধও নিয়ে ফেললেন।
আরও পড়ুন: পরের বার সোনা🉐র দাবীদার লক্ষ্য, আগাম দাবি অ্যাক্সেলসেনের, বোঝালেন ভারতীয় শাটলারের এব𓃲ারের হারের কারণ
রবিবার (৪ অগস্ট) ফিলিপে শাঁতিয়ের কোর্টে রোমাঞ্চকর টেনিসের ফাইনালে আলকারাজকে ৭-৬ (৩), ৭-৬ (২)-এ হারিয়ে দেন জোকোভিচ। সেই সঙ্গে জোকার তাঁর ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো অলিম্পিক্সে সোনা জিতলেন। এর আগে তিনি রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জিতেছিলেন। কিন্তু 🦹অলিম্পিক্সে সোনা ছিল অধরা। ব্রোঞ্জ পেলেও, সোনা পাওয়া হয়নি। সেই আক্ষেপ অবশেষে মিটল কিংবদন্তি টেনিস প্লেয়ারের। ছ'বারের প্রচেষ্টায় প্রথম বার অলিম্পিক্সে সোনা জিতলেন জোকোভিচ। এদিকে আলকারাজ তাঁর প্রথম অলিম্পিক্স থেকে রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকলেন।
আরও পড়ুন: নিশান্তের সঙ্গে সত্যিই প্রতারণা হয়েছে? বিজেন্দ্র, রণদীপ হুডাদের পর মুখ খুললেন ভারতীয় বক্সা🧸রের ♚কোচ
টেনিসে এমন কোনও গ্র্যান্ড স্লাম নেই, যা জোকার একাধিকꦛ বার জেতেননি। গোটা বিশ্বের কার্যত সব প্রতিযোগিতাই জিতেছেন জোকোভিচ। অধরা থেকে গিয়েছিল শুধু অলিম্পিক্সের সোনা জয়। ৩৭ বছর বয়সে সেই গোল্ডেন স্লাম পূরণ করে ফেললেন জোকার। আর সোনা জেতার পর ভাসলেন চোখের জলে। কারণ তাঁর কাছে এটাই শেষ সুযোগ ছিল। কারণ এর চার বছর পর আর জোকারের পক্ষে❀ অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়াটাই সম্ভব হবে না। তাই রোলাঁ গারোয় নিজেকে সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জোকোভিচ। তার ফলও পেয়েছেন।
এই জয়ের পাশাপাশি অলিম্পিক্সের ইতিহাসে নোভক একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। ৩৭ বছর বয়সি জোকার অলিম্পিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্লেয়ার হিসাবে ওপেন এরায় সোনার পদক জিতলেন। আলকারাজের বিরুদ্ধে লড়াইটা কিন্তু🌳 সহজ ছিল না তাঁর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই তারকার মধ্যে। দু'জনের কেউই এই ম্যাচে কারও সার্ভিস ব্রেক করতে পারেননি। দু'টি সেটই গড়ায় টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকারে দু' সেটেই জোকোভিচ জয় ছিনিয়ে নেন।
কোয়ার্টার ফাইনা𝓰ল ম্যাচে গ্রিসের স্টেফানোস সিসিপাসের বিরুদ্ধে ম্যাচে পুরনো হাঁটুর চোটই ফিরে এসেছিল। তবু জোকোভিচ ব্যাথার ইঞ্জেকশন নিয়ে সেই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠেন। শেষ চারে লরেঞ্জো মুসেত্তিকে উড়িয়ে প্রথম বার অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠেছিলেন সার্বিয়ান তারকা। তার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডে রাফায়েল নাদালেরও মুখোমুখি হতে হয়েছিল। কঠিন সব বাধা পেরিয়ে, অবশেষে শেষ পর্বে আলকারাজকে হারিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে ফেললেন জোকার। আর এই সোনা জয়ের সঙ্গে ক্যারিয়ারের একটি বৃত্ত যেন সম্পূর্ণ হল নোভক জোকোভিচের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।