বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যত বেশি ব্যবহার করা হবে, মানুষের কর্মসংস্থানেও আশঙ্কা আরও বাড়বে, চাকরির বাজারে মন্দা সীমা ছাড়াবে বলে অনেক বিশেষজ্ঞরাই যুক্তি দিয়ে যান। চিন্তায় মাথা ফাটে জনসাধারꦫণের। এবার সেই চিন্তাই কিছুটা হলেও উপশম করেছেন ভারতের শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী এ বিষয়ে নিজের মতামত দিয়ে, সংসদে বলেছেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার ভারতে চাকরির ক্ষতি করবে না। বরং, এই নতুন প্রযুক্তি নতুন চাকরির সুযোগ বাড়াবে।
আরও পড়ুন: (ISRO ছেড়ে IAS ♚অফিসার হতে চেয়েছিলেন, যে কারণে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এস সোমনাথ)
এদিন, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি তাঁকে এআই- এর কারণে চাকরি হারানোর উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্ন✃ করেছিলেন। এই প্রশ্নের উত্তরেই শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, যখন ইন্টারনেট এসেছিল, তখন একই ধরনের জল্পনা ছিল যে এটির কারণে মানুষ চাকরি হারাতে পারে। যখন কম্পিউটার এসেছিল, তখনও একই ধরনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা জানি যে এই ধরনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি কেবলমাত্র আরও সুযোগ নিয়ে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: (BSNL Data plan: সস্তায় হাই স্প💙িডে ডেটা দেবে BSNL! 4G নেটওয়ার্ক প্রস্তুত, এবার 5G-র পাল)
এই সময় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য আরও বলꦦেছিলেন যে মোদী সরকারের পদক্ষেপের কারণে দেশে বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন, শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ২০১৭-১৮ সালে ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৪ শতাংশ হয়েছে। ভারতের অর্থনীতি ছয় থেকে সাত শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতি যখন এই গতিতে বৃদ্ধি পায়, তখন উৎপাদন থেকে সেবা খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। তাই এখনই চিন্তার কিছু নেই। ন্যাশনাল সার্ভিস পোর্টালে ৩০ লক্ষেরও বেশি চাকরি রয়েছে। দেশ♐ে চাকরির অভাব নেই।
আরও পড়ুন: (Byju's-BCCI Roꦚw: দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচল বাইজু'স, খারিজ আমেরিকান ঋণদাতাদের আবেদন)
পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত চাকরির অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় ব্যানার্জিকে খোঁচা দিয়ে মন্ত্রী এও বলেছিলেন যে যাঁরা রাজ্যের শিল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন ক﷽রে চলেছেন, তাঁরা জানতে চান যে এটি চাকরিতেও প্রভাব ফেলবে কি না। এরপরেই তিনি বলেছিলেন যে রাজ্যের জনসংখ্যা বি𓆉বেচনা করে রাজ্য সরকারের আরও বেশি বিনিয়োগ এবং শিল্প আকর্ষণ করা উচিত ছিল।
এআই কীভাবে কাজ করে
এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অর্থ হল কৃ💦ত্রিম অর্থাৎ কৃত্রিম উপায়ে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা বিকশিত করা। কৃত্রিমও বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি উন্নত শাখা। এটিতে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে একটি যন্ত্রকে এতটাই বুদ্ধিমান করে তোলার চেষ্টা করা হয়, যাতে এটি মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে। মানুষের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।