সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতের তৈরি কিউআর (QR) কোডের মাধ্যমে পেমেন্ট ২০২৮ সালের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিཧয়ার বাজারে প্রায় ৫৯০ শতꦛাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে। জুনিপার (Juniper) বলে একটি বিদেশি রিসার্চ সংস্থা একটি রিপোর্টে জানিয়েছে যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে কিউআর কোডের সাহায্যে পেমেন্টের পরিমাণ ২০২৩ সালের ১৩ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০২৮ সালে ৯০ বিলিয়ন হবে। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের বাজারে ভারতের তৈরি কিউআর (QR) কোডের মাধ্যমে পেমেন্ট এর প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ এটির সাহায্যে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই তারাও ডিজিটাল পেমেন্ট করতে সক্ষম। কিন্তু অন্যদিকে, পশ্চিমা বাজারগুলিতে ভারতের তৈরি এই কিউআর কোডের সীমিত গ্রহণ যোগ্যতা দেখা গেছে।
(আরও পড়ুন: এবার বাণিজ্য সম্মেলনে লক্ষ্য বিদেশি লগ্নি, নয়া🎃দিল্লিতে জোরক🅺দমে প্রস্তুতি বৈঠক)
মাইগভইন্ডিয়া (MyGovIndia)-এর একটি তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ভারতে প্রায় ৮৯.৫ মিলিয়ন ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে, এবং এই পরিসংখ্যান বলছে ভারত ডিজিটাল পেমেন্টে শীর্ষে স্থান দখল করেছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল, এই দেশটির মোট লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ২৯.৯ মিলিয়ন। ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিন প্রায় ১৭.৬ মিলিয়ন লেনদেন করেছে ডিজিটাল পেমেন্টের সাহায্যে। এছাড়া প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের ইউপিআই (UPI) এবং ব্রাজিলের পিক্স সহ জাতীয় কিউআর পেমেন্ট স্কিমগুলি, ২০২৩ সালে কেনিয়া এবং বাংলাদেশের জাতী🦂য় স্কিমগুলিতে অন্তর্ভুক্তি করাܫ হয়েছে।
ইতিমধ্যে, ইউপিআই-এর সাহায্যে লেনদেন ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর্থিক মূল্যের দিক থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১,৩২০ শতাংশ এবং ভলিউমের দিক থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১,৮৪৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে ইউপিআই-এর সাহায্যে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায়ℱ ৩৭৪.৬৩ কোটি, যেটি ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৭,৪০৩.৯৭ কোটি । মূল্যের দিক থেকে, ২০১৮ সালে ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৮৩.২ লক্ষ কোটি টাকা। আগামীতে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে ভারত সহ গোটা বিশ্বেই।