মানবসভ্যতার পর্যবেক্ষণের তালিকায় দূরতম চারটি ছায়াপথের সন্ধান দিল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এর মধ্যে একটি মহাবিস্ফোরণের(Big Bang) মাত্র ৩২ কোটি বছর বাদেই গঠিত হয়েছিল। সেই সময়ে মহাবিশ্ব তখনও শৈশবকালে ছিল। মঙ্গলবার প্রকাশিত গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। আরও পড়ুন: James Webb Telescope: আঁধার চিরে ধরা দিল দূরতম ছায়াপথ, চোখ মেলেই চমকে দিল জেমস টেলিস্কোপ
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গত বছর তার চক্ষু মেলেছিল। আর তার পর থেকে একের পর এক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মাধ্যমে মানবসভ্যতার জ্ঞানের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ করেছে এই সৃষ্টি। মহাবিশ্বের দূরবর্তী অঞ্চলে, যার কল্পনাও মানবসমা🧔জ করতে পারেনি, সেই স্থানের ছবিও তুলে ধরেছে সবার সামনে।
ঠিক কতটা দূরের ছায়াপথের সন্ধান দেওয়া হয়েছে? একটি ছোট ব্যাখা দিয়েই এটা বোঝানো যেতে পারে। সবচেয়ে দূরবর্তী এই ছায়াপথ থেকে যতক্ষণে আলো এসে পৃথিবীতে পৌঁছায়, ততক্ষণে এটি মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মাধ্যমেಌ প্রসারিত হয়ে যায়। আলোক বর্ণালীর অবলোহিত(Infrared Region) অঞ্চলে চলে যায়।
ওয়েব টেলিস্কোপের NIRCam যন্ত্রেꦓর মাধ্যমে এই ইনফ্রারেড আলো সনাক্ত করা হয়। এর মাধ্যমেই পূর্বে অদেখা মহাবিশ্বের পরিসরক🍨ে দ্রুত সনাক্ত করা হয়।
নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে পꦅ্রকাশিত দু'টি গবেষণায়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত মানবসমাজের পর্যবেক♔্ষণকৃত সবচেয়ে দূরবর্তী চারটি ছায়াপথকে সনাক্ত করেছেন।
꧋১৩০০ কোটি ব🍷ছর আগে মহাবিস্ফোরণের ৩০ থেকে ৫০ কোটি বছর পর এই মহাবিশ্বগুলি গঠিত হয়েছিল।
এর মানে এই যে, এই🎃 ছায়🐼াপথগুলি এমন একটি সময়ে তৈরি হয়েছে, যখন প্রথম নক্ষত্রের আবির্ভাব হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাজাগতিক অন্ধকার যুগের অবসানের ঠিক পর পরই এই যুগের সূচনা হয়।
নাসার নয়া জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি আগের হাবল টেলিস্কোপ থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি মহাশূন্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পৃথিবীর কক্ষপথ ছাড়িয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই টেলিস্কোপটি। টেলিস্কোপের মূল লক্ষ্য দু'টি, ব্রহ্মাণ্ডে জ্বলে ওঠা আদি নক্ষত্রগুলির ছবি তোলা এবং দূর-দূরান্তের গ্রহগুলি প্রাণধারণের উপযোগী কিনা, তা খতিয়ে দেখা। আরও পড়ুন: গ্রহাণুর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত James Webb স্পেস টেলিস্কোপ, তুলেছিল অবিশ্বাস্য ছবি