🎃 ভিউ এলেই টাকা। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থের ব্যাপারও রয়েছে। আর সেই কারণেই লাগাতার ভুয়ো, ভিত্তিহীন ভিডিয়ো বানাত বহু YouTube চ্যানেল। এমন প্রায় ১০৪টি চ্যানেল এবং ৪৫টি ভিডিয়ো নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এমনটাই জানালেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, অনুরাগ ঠাকুর।
বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য জুগলসিংহ লোখান্ডওয়ালা জানতে চেয়েছিলেন, ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তার প্রেক্ষিতেই এই তথ্য দেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি জানান, এই ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে এমন কনটেন্ট ছিল, যা আইটি আইনের অধীনে দেশের জন্য ক্ষতিকর ও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে। 🉐আরও পড়ুন: 'রেলের ১৫১টি ট্রেন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে,' রাহুলের টুইটকে Fake News-এর তকমা দিল PIB
𒆙 ১০৪টি ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও চারটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পোস্ট, ইনস্টাগ্রামে তিনটি অ্যাকাউন্ট, পাঁচটি টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং তিনটি পডকাস্ট ব্যান করেছে কেন্দ্র। এর পাশাপাশি দু'টি অ্যাপ এবং ছয়টি ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
๊সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট, প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনের সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য প্রচারের অভিযোগে ৩টি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ব্যান করেছে কেন্দ্র। এই চ্যানেলগুলিতে সব মিলিয়ে ৩০ কোটিরও বেশি ভিউ এবং ৩৩ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার ছিল। কিছু ভিডিয়োতে রীতিমতো ইউটিউব মনেটাইজেশন এবং অর্গানিক বিজ্ঞাপন চলছিল। ফলে মিথ্যা, কাল্পনিক ভিডিয়ো, থাম্বনেলের জোরেই মোটা টাকা কামাচ্ছিল চ্যানেল মালিকরা। ভিডিয়োতে আখছার জনপ্রিয় সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যমের লোগোও ব্যবহার করা হত।💯 ইউটিউব ভিডিয়োগুলির শিরোনামই শিউরে ওঠার মতো। ৬ মে ২০২১-এ এমনই এক ভিডিয়ো আপলোড করা হয়, ‘পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, বদলে এলেন নীতিন গড়করি।' এমন আজব ক্লিকবেট ভিডিয়োতেই প্রায় ৪ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়েছে। এমন ভিডিয়ো বানালে চ্যানেল নিষিদ্ধ করাটাই স্বাভাবিক। শুধু তাই নয়, 'প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ' বা 'রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল'- এমন হেডলাইন দিয়ে লক্ষ লক্ষ ভিউ তুলেছে চ্যানেলগুলি। যাঁরা ইউটিউবারদের আয়ের বিষয়ে জানান, তাঁরা সহজেই অনুমান করতে পারবেন, ঠিক কতটা বিপুল আয় করছিল এই চ্যানেলগুলি।
শিশুদের উদ্দেশ্য করে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কুরুচিকর বিজ্ঞাপনের বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য রাকেশ সিনহা। এর উত্তরে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, এই ধরনের যে কোনও বিজ্ঞাপন অবিলম্বে চিহ্নিত করা হয়। বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে সঙ্গে নোটিশ পাঠানো হয়। তিনি জানান আইটি নিয়ম ২০২১-এর অধীনে OTT কনটেন্টের জন্য বিভিন্ন বয়সসীমার ভাগ করা রয়েছে। যেমন, ৭ বছরের বেশি, ১৩ বছরের বেশি, ১৬ বছরের বেশি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের দেখার মতো কনটেন্ট। ไআরও পড়ুন: Covid in India: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মোদীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক! করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী
ꦛ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিলাসবহুল ফ্যাশন সংস্থা ব্যালেন্সিয়াগা-র কিছু বিজ্ঞাপনী ফটোশ্যুট সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার মুখে পড়ে। বিজ্ঞাপনে শিশু মডেল ব্যবহার করে 'বন্ডেজ'-এর ইঙ্গিতপূর্ণ পোশাক দেখানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।