মহাজগতের 'সৃষ্টির স্তম্ভ'কে ফ্রেমবন্দি করল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। গ্যাস এবং ক্ষুদ্রকণার মꦡাঝে অভ্রের মতো ছড়িয়ে অগুণতি তরুণ নক্ষত্র। 'Pillars of Creation'-এর ছবি প্রকাশ করল নাসা।
কালচে নীল মহাশূন্য। তার মাঝে হাজার হাজার তারা। তাদের ঘিরে মহাজাগতিক কণা ও গ্যাসীয় আবরণ। যেন অনেকটা স্তম্ভের মতো। প্র♉থমবার সেই দৃশ্যের এতটা সুস্পষ্ট ছবি মানবজাতির সামনে তুলে ধরল জেমস টেলিস্কোপ। এ যেন শিল্পীর কল্পনার থেকেও লক্ষ গুণ সুন্দর। মহাকাশের মাঝেই যেন সুবিশাল পার্থেননের থাম বসিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা।
'স্তম্ভে'র মতো গড়নগুলি প্রান্তে উজ্জ্বল লাল লাভার মতো দাগ। নাসার ব্যাখা, 'এগুলি নক্ষত্রের থেকে হওয়া গ্যাস ও কণার নির্গমন। মাত্র কয়েক লক্ষ বছরের এই তরুণ নক্ষত্রগুলি এখনও গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।🌳'
নক্ষত্রদের এই 'সৃষ্টির স্তম্ভ' আমাদের আকাশ গঙ্গার ঈগল নেবুলায় অবস্থিত। পৃথিবী থেকে ৬,৫০০ আলোকবর্ষ দূরে। আরও পড়ুন : চাঁদ🌞ে অভিযানের বিরল ২৫টি ছবি দেখুন এখানে
প্রথমবার ১৯৯৫ সালে এই স্তম্ভগুলির হাবল স্পেস টেল🍷িস্কোপে ধরা পড়েছিল। ২০১৪ সালেও ফের তাদের ফ্রেমবন্দি করা হয়েছিল। আর তখন থেকেই নক্ষত্রদের এই আঁতুড়ঘরের বিষয়ে আগ্রহ বিশ্বের তাবড় মহাকাশ উত্সাহীদের।
কিন্তু সেই সময়ে গ্যাসীয় বাধা, ধুলিকণার কারণে বেশি স্পষ্ট ছবি তোলা যায়নি। জেমস ওয়েবের 🎶ইনফ্রারেডের সৌজন্যে যদিও এখন সব বাধা অতিক্রম করতে পেরেছেন গবেষকরা।
স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্লাউস পন্টোপিডান, টুইটারে বলেন, 'সবার এত অনুরোধ থাকায় জেমস ওয়েবে পিলা♌রস অফ ক্রিয়েশন তোলা হয়েছে।'
ছবিটি🥂র ব্যাপ্তি প্রায় আট আলোকবর্ষ এলাকা জুড়ে। 🧸ওয়েবের প্রাথমিক ইমেজার NIRCam দ্বারা ছবিটি নেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ার-ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্যকে ক্যাপচার করে, মানুষের চোখে যা অদৃশ্য।
এরপর♐ সেই ছবির রঙ দৃশ্যমান আলোতে 'অনুবাদ' করা হয়েছে।
NASA-র মতে, এই নতুন ছবির মাধ্যমে গবেষকরা এই অঞ্চলে গ্যাস এবং ক্ষুদ্র কণার পরিমাণ সহ নবগঠিত নক্ষত্রের আরও সুনির্দিষ্ট গণনা করতে পারবেন। এটি তাঁদের নক্ষত্র গঠনের মডেল পুনর্গঠন করতে সহায়তা করবে। আরও পড়ুন : আঁধার চিরে ধরা দিল দূরতম ছায়াপথ, চো♍খ মেলেই চমকে দিল জেমস টেলিস্⛎কোপ
জুলাই থেকে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছে জেমস ওয়েব। এটি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ। ইতিমধ্যেই অভূতপূর্ব ডেটায় নিজের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে জেমস ওয়েব। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এই টেলি💜স্কোপ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করবে।