হিন্দু ধর্মে ছট পুজো মূলত সূর্যদেবতার পুজো। প্রতি বছরই এই ছট পুজো নির্দিষ্ট সময়কাল মেনে পালিত হয়। ২০২৪ সালে ছট পুজোর তিন দিনের রীতি পালন শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ ৭ নভেম্বর তৃতীয় দিন। এই তৃতীয় দ🐼িনটিতেই ছট পুজোর আসল রীতি পালিত হয়। এদিনের সূর্যোদয়ের সময়ের যেমন মাহাত্ম্য রয়েছে, তেমনই তাৎপর্যপূর্ণ সূর্যাস্তের সময়। দেখে নেওয়া যাক, ছট পুজোর দিনে সন্ধ্যা অর্ঘ্যের সময় কতক্ষণ রয়েছে শুভক্ষণ। পরের দিন ঊষা অর্ঘ্য ও পরানা দিবস রয়েছে। সেই দিনটির মাহ💯াত্ম্যও জেনে নিন।
এই পুজোর শেষের দুই দিন, অর্থাৎ ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিন সূর্যদেবকে অর্ঘ্য দিয়ে পুজো সমাপ্ত করা হয়। ছট পুজোর বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। কার্তিকের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই পুজো ধুমধাম সহকারে পালিত হয়। ছট পুজোর প্রথম দিনটির নাম নাহায়-খায়। পরের দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় লোহান্ডা-খারানা। তৃতীয় দিনটি পালিত হয়, ছট পুজো বা সন্ধ্যাဣ অর্ঘ্য নামে। চতুর্থ দিন ঊষা অর্ঘ্য বা পরানা দিবস। দেখে নেওয়া যাক, ছট পুজো অর্থাৎ আজের দিনে সূর্যাস্তের সময় কখন। আগামিকালের ঊষা অর্ঘ্যের সময়ও দেখে নিন।
ছট পুজো তিথি ২০২৪:-
৭ নভেম্বর রয়েছে সেই সন্ধ্যা অর্ঘ্যের সময়কাল। সন্ধ্যা অর্ঘ্যের তিথি ৭ নভেম্বর সকাল ৬ টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হবে, আর সন্ধ্যা🔜 ৫ টা ৩২ মিনিটে শেষ হবে। ঊষা অর্ঘ্য নভেম্বর মাসের ৮ তারিখে সকাল ৬ টা ৩৮ মিনিটে শুরু হবে আর তা শেষ হবে বিকেল ৫টা ৩১ মিনিটে।
ছট পুজোর উপবাস:-
অন্তত ৩৬ ঘণ্টা ধরে নির্জলা উপবাস চলে ছট পুজোয়। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্যর পর প্রসাদ খান। উৎসবের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় উপবাস। ওইদিন বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করা হয়। উপাচার হিসাবে ক্ষীর, রুটি, কলা দেওয়া হয়। এরপর ছটপুজোর মূল উপকরণ ঠেকুয়া বানানোর কাজ শুরু হয়। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য ওঠার আগেই ব্রতপালনকারীরা আবাღর জলাশয়ে যান। সেখানে অর্ঘ্য দেন। তারপর পুজো শেষ হয়। পুজো শেষে বাড়ি আসার পরই খরনার সন্ধে থেকে প্রায় ৪০ ঘন্টা পর ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙেন।