🍃নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে, সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খান্না এবং ঋষি কাপুর যখন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করা থেকে সরে এসেছিলেন, তখন তরুণ প্রজন্মের অভিনেতারা সেই শূন্যতা পূরণ করেছিল। তিন খান এবং অক্ষয় কুমার বলিউড ছবিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁরা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন অভিনেতাও সেই তালিকায় ছিলেন আর তাঁদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও খুব একটা কম ছিল না। তাঁদের মধ্যেই একজন তরুণ অভিনেতা ছিলেন যাঁর প্রথম কাজ দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিল। তাঁকে সকলে 'পরবর্তী রাজেশ খান্না' উপাধিও দিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের সেই জায়গা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন নায়ক। নিশ্চয়ই ভাবছেন তিনি কে? তিনি হলেন পৃথ্বী ভাজির।
ꦇপৃথ্বী ভাজির ১৯৯২ সালে দিব্যা ভারতীর বিপরীতে ‘দিল কা কেয়া কসুর’ ছবি দিয়ে বি-টাউনে পা রাখেন। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবিটি হিট হয়েছিল। গণমাধ্যম পৃথ্বীকে পরবর্তী রাজেশ খান্না হিসাবে আখ্যাও দিয়েছিল। ছবির সাফল্যের পর তিনি রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলেন, তাঁর কাছে একের পর এক ছবির অফার আসতে থাকে। অনেকেই অনুমান করেন যে পৃথ্বী রোম্যান্টিক হিরোর চাহিদা পূরণ করবেন। সেই সময়, তাঁকে অক্ষয় কুমার এবং শাহরুখ খানের মতো তরুণ তারকাদের বিকল্প হিসেবে দেখা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ꧅'কল মি বে'-তে ওরির ক্যামিও নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন অনন্যা! মুখ খুললেন অরি
💙কিন্তু পৃথ্বীর একটা ভুল সিদ্ধান্তে একের পর এক কাজ তাঁর হাতছাড়া হতে থাকে। আসলে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলেন পৃথ্বী। তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম দিকেই তিনি সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। চুক্তি অনুসারে তিনি ওই প্রযোজনা সংস্থার বাইরে অন্য কোনও প্রযোজনা সংস্থার ছবি করতে পারবেন না। যার ফলে তিনি ‘ডর’ এবং ‘দিওয়ানা’র মতো ছবিগুলিতে সুযোগ পেয়েও কাজ করতে পারেননি। তাঁর জায়গায় তখন শাহরুখ খান এই সব ছবিতে কাজ করেন।
আরও পড়ুন: 🦩ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে সব সময় হিনা পাশে পেয়েছেন প্রেমিককে! প্রেমদিবসে যা করলে রকি
ඣ২০২১ সালে ঝাকাস বলিউডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, পৃথ্বী প্রকাশ করেছিলেন যে, ‘আমি এমন একটি চুক্তিতে আটকা পড়েছিলাম যা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন ছিল। এবং তাঁরা আমাকে আমার পিক টাইমকেই বেঁধে রেখেছিল। আমি হারিয়ে যাইনি। আমি আমার ভক্তদের হৃদয়ে সব সময় বেঁচে আছি। চুক্তিবদ্ধ থাকায় আমি বহু ছবি করতে পারিনি।’