স্মার্টফোনের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে নতুন প্রজন্মের অনেকেই। দিনরাত তাদের চোখ স্মার্টফোনের পর্দায়। আর বন্ধুদের কাছে সেই স্মার্টফোন দেখে তেমন একটি মোবাইল কেনার ইচ্ছা হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর। কিন্তু ফোন কিনতে টাকার দরকার। তবে বাড়িতে নিত্যদিনের অভাব। বাবা সবজি বিক্রেতা। মা অসুস্থ। ফোন কেনার টাকা জোগাড় করাটাই সমস্যার। কিন্তু মাথায় চেপে বসেছে স্মার্টফোনের ইচ্ছা। প্রতিবেশীর ফোন থেকে সে একটি স্মার্টফোনের অর্ডার দিয়েছিল অনলাইনে। সামনের সপ্তাহে সেই ফোন আসার কথা। কিন্তু সেই ফোনের জন্য টাকা জোগাড় হবে কী করে? অগত্যা মাথায় আসে র𒉰ক্ত বিক্রি 🍃করে টাকা জোগাড়ের কথা!
এরপর সোমবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে চলে আসে সে। লাইনে দাঁড়িয়েও পড়ে সে। সে ব্লাড ব্য়াঙ্কের কর্মীদের জানায় রক্ত বিক্রি করতে চায়। ছাত্রীর মুখে সেকথা শুনে হতবাক স্বাস্থ্য কর্মীরা। এরপর ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে বসতে বলেন তাঁরা। কথায় কথায় সে জানিয়ে দেয় ফোন কেনার জন্য় তার টাকার প্রয়োজন। আর সেই টাকা জোগাড় করার জন্যই সে রক্ত বিক্রি করতে চ🅷ায়।
এরপরই চাইল্ড লাইনের কাছে খবর যায়। তাদের প্রতিনিধিরা নান🧸াভাবে ওই ছাত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তার কাউন্সেলিংয়েরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু কেন একজন ছাত্রীর মধ্যে এই ভাবনা আসছে সেটাও ভাবাচ্ছে অভিভাবকদের। তবে কি স্মার্ট ফোনের নেশা এতটাই প্রবল যে রক্ত বিক্রির মতো কাজ করতেও পিছুপা হচ্ছে ন𓆉া ছাত্রী? বিষয়টি ভাবাচ্ছে অনেককে।