একটা, দুটো, তিনটে, চারটে, পাঁচটা, কুমির গুনবে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। তবে বনদফতরের তরফে চলতি বছরের প্রথম দিকে কুমির গণনা করা হয়েছিল। এবার ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কুমির গুনে দেখবে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প। অন্তত তিনবার এই কুমির গণনা করা হবে। এরপর সেই রিপোর্ট পেশ করবে বনদফতর। মূলত বিগত দিনের তুলনায় কুমিরের সংখ্য়া বাড়ল নাকি ক💧মল সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। সুন্দরবনের প্রায় ৪২০০ কিমি জুড়ে হবে এই গণনা। সরাসরি খালি চোখে দেখে ও কুমিরের উপস্থিতি রয়েছে এটা বুঝে গণনা করা 🍬হয়। একই জায়গায় পরপর তিনবার গণনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত।
এদিকে চলতি বছরের একেবারে প্রথমে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে কুমির গণনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় আচমকা আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে যায়। তার জেরে কুমির গণনার কাজে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। তারপরেও কুমির গণনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় যে সংখ্যাটা মিলেছিল তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়♛েছে। এবার ফের কুমির গণনা করা হবে। সেক্ষেত্রে মিলিয়ে দেখা হবে ঠিক কতগুলি কুমির রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সম্ভবত গতবারের তুলনায় কুমিরের সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে সেটাই মিলিয়ে দেখা হবে। এবার ২৬টি টিম এই কাজ করবে।
এদিকে ২০১২ সালেও একবার কুমির সুমারি হয়েছিল। সেই সময় অন্তত ১৪১টি কুমিরের সন্ধান মিলেছিল। এরপর আরও একবার কুমির সুমারি হয়েছিল সুন্দরবনে। কিন্তু সেই সংখ্য়াটা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। সেকারণে এবার একেবারে তিন তিনবার গুনে দেখা হবে। কারণ সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে কুমিরের একেবারে অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক রয়েছে। সেক্ষেত্রে কুমির গণনার উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েꦡছে।
তবে অভিজ্ঞমহলের মতে, সুন্দরবনে বাস্তবে যতগুলি কুমির রয়েছে তার সবগুলিই দেখা মিলবে এই কুমির সুমারিতে বিষয়টি তেমনটা নয়। কারণ সেই সময় যতগুলি 🍒কুমির দেখা যায় তার উপরই গণনা নির্ভর করে। এছাড়াও আরও কতকগুলি ফ্যাক্টর এর উপর রয়েছে।
শেষবার যখন কুমির সুমারি হয়েছিল সেই সম🌺য় কুমির সুমারিতে সব মিলিয়ে ১৬৮টি কুমিরের দেখা মিলেছিল। এরপর সব কিছু খতিয়ে দেখে মোটামুটি একটা সিদ্ধান্তে এসেছিল বনদফতর যে সুন্দরবনে রয়েছে ২০৪টি কুমির।
এদিকে সাধারণত সুন্দরবনে যাꦰরা বেড়াতে যান তারা বাঘ সবসময় দেখতে না পেলেও তারা অন্তত কুমির দেখতে পান। নদ𒈔ীর পাড়ে তাদের দেখা যায় যে পিঠে রোদ দিয়ে বসে থাকতে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র ෴প্রকল্প এলাকা ও ২৪ পরগনা বনবিভাগ এলাকায় বনকর্মী ও কুমির বিশেষজ্ঞরা এই কুমির গণনার কাজে অংশ নেবে🌼ন।