সত্তরোর্ধ অসুস্থ বৃদ্ধার আবাস যোজনার ঘর দখল করে তৃণমূলের পার্টি অফ🐎িস করার অভিযোগ উঠল বর্ধমান ২ ꧅ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মিতা দাসের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর দাবি, তিনি বৃদ্ধার কাছ থেকে ওই ঘর ভাড়া নিয়েছেন। ঘর ফিরে পেতে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি বিডিও এবং স্থানীয় থানাকে অভিযোগ জানিয়েছেন বৃদ্ধার বোন।
আরও পড়ুন - দিঘা উ♑ন্নয়ন পর্ষদে কারও গা টিপছে, কারও পা!… অফিসারদে🎀র জন্য CID ভিজিল্যান্স, কড়া মমতা
পড়তে থাকুন - ধমক খেলেন মন্ত্র✃ী আর সরানো হল রাজ্য়ের দুই সচিবকে, যাদবপুরের জমি দখলের খবরও দিদির কাছে
স্যাঁতসাঁতে ঘরের🦹 মেঝের এক কোণে পড়ে আছেন অসুস্থ বৃদ্ধা। ঘরের এক কোণায় বোঝাই করা আছে বৃদ্ধার জিনিসপত্র। অসুস্থতার কারণে নড়াচড়ার ক্ষমতা হার🌞িয়েছেন তিনি। দিদিকে যত্ন করার জন্য বৃদ্ধার পাশে আছেন বোন মমতাদ দেবী। মমতা দেবী বুদবুদের বাসিন্দা। দিদির অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে পরিচর্যা করতে আসেন বৈকুণ্ঠপুরের হ্যাচারি রোড এলাকায়। বৃদ্ধার বোন মমতা দেবী বলেন ২০১৮ সালে আবাস যোজনার ঘরের একাংশে ভাড়া নেন তৃণমূল নেত্রী মিতা দাস। প্রথমদিকে ঠিকঠাক করে ভাড়া দিলেও পরবর্তীতে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন তিনি।
মমতা দেবী বলেন, ‘প্রꩲথম প্রথম এক হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া দিতেন। তারপরে এক হাজার টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা করে দিতেন। দু-তিন বছর ধরে তা পুরোপুরি বন্ধ করে রেখেছেন মিতা দেবী। ঘর ছাড়ার বিষয়ে মিতা দেবীকে বারংবার জানানো হলেও কোন কর্ণপাত করেননি। এই ঘটনার বিষয়ে বৈকুণ্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বর্ধমান ২ ব্লক বিডিও এবং পঞ্চায়েত 💮সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় থানাকে জানানো হয়েছে বলে জানান মমতা দেবী।
অভিযোগ অস্বীকার করে মিতা দাস বলেন, আমি নিয়মিত এক হাজার টাকা করে ভাড়া দিয়ে চলেছি। ঘর ছাড়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। স্থান🧜ীয় কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই ওই বৃদ্ধাকে উল্টো পাল্টা বোঝাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আ꧅বাস যোজনা যে টাকা ব্যাংক একাউন্টে এসেছিল সেই টাকা তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের একাংশ।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলে🎃ন এই ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে তার ব্যবস্থা গ্🌄রহণ করা হবে। কারও বাড়ি দখল করে কোন পার্টি অফিস হবে না। এটা দল মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন - মুখ্যমন🐓্ত্রী এটা অন্তত ভালো কাজ করেছেন, 'নবান্ন- ধ𒁏মকে' খুশি বিজেপি নেতাও!
ভারতীয় জনতা পার্টি𒀰র পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, এটা তৃণমূলের ট্রেডিশন জায়গা জমি দখল করা এটা বরাবরই হয়ে আসছে এটা নতুন কিছু না।এই বিষয়ে বর্ধমান বৈকুণ্ঠপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুনশ্রী মণ্ডল জানান, আমাদের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমি যেটা বুঝেছি ওটা একটা আবাস যোজনার বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে ওখা🔥নে একটা পার্টি অফিস দখল করে বসেছে। বাড়ির মালিক পুষ্প চক্রবর্তী স্থায়ী ভাবে বসবাস করবে বলে আমার কাছে জানিয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।