🐼মুর্শিদাবাদের বহরমপুর গার্লস কলেজের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের ঘটনার ২০ দিন পর মেস বাড়ি থেকে মেয়ের শেষ স্মৃতিটুকু বাড়ি নিয়ে গেলেন বাবা স্বাধীন চৌধুরী।
গত ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোড়াবাজারে খুন হয়েছিলেন বহরমপুর গার্লস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। তিনি শহিদ সূর্য সেন🌟ౠ রোডের বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার তদন্তের জন্য এতদিন ওই সমস্ত জিনিসপত্র বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তবে পুলিশের কাছে অনুমতি মিলতেই রবিবার মেয়ের ব্যবহার করা সমস্ত জিনিস বাড়ি নিয়ে চলে যান স্বাধীন।
মেয়ের জিনিসপত্র নিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন স্বাধীন চৌধুরী। তাঁর গলায় শোনা যায় আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন, ‘মেয়েটাকে তো নিয়ে🥂 যেতে পারলাম না।’
শহিদ সূর্যসেন রোডের ওই মেস বাড়িতে ভাড়া থেকেই সুতপা কলেজে পড়াশোনা করতেন। গতকাল তার ব্যবহার করা জিনিসপত্র-সহ বই, খাতা নিতে আসেন সুতপার বাবা এবং তাঁর মামা। সেগুলি তাঁরা গাড়িতে করে নিয়ে যান। বাড়ি ফেরার সময় স্বাধীন চৌধুরী বলেন, ♒‘মেয়েটাকে তো আর নিয়ে যেতে পারলাম না। তাই অন্তত তার স্মৃতিটুকু থাক। কখনও ভাবতে পারিনি যে এরকমভাবে তার ব্যব💝হার করা জিনিসপত্র স্মৃতি হিসেবে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে।’
উল্লেখ্য, সুতপাকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সুশান্ত চৌধুরীকে সমরেไশগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। পরে জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। একইসঙ্গে তার কিছুদিন পরেই নেটমাধ্যমে সুতপার সঙ্গে তার বেশ কিছু ছবি (সত্যতা যাচাই করেনি হি💫ন্দুস্তান টাইমস বাংলা( ছড়ি🐎য়ে পড়ে। অবশ্য সুশান্তর সঙ্গে সুতপার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী। তবে তা অনেক পুরনো বলেও তিনি দাবি করেছিলেন। সুতপার বাবা দাবি করেছিলেন, সুশান্তর আচরণ মোটেই ভালো ছিল না। তাই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছিল সুতপা।