বহুদিন পদহীন। তবে লড়াকু মেজাজ আজও আছে। সংগঠন নিজের হাতে তৈরি করে প্রমাণ করেছিলেন তিনি দলের অন্যদের থেকে আলাদা। তবু তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। ধীরে ধীরে সব পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মতো সাফল্য দলের কেউ তুলে ধরতে পারেনি। কিন্তু ছলে–বলে–কৌশলে জেতা আসন থেকে সরিয়ে অন্য আসনে দাঁড় করিয়ে হারিয়ে দেওয়া হল। এটাও তাঁরই দাবি। এখন তিনি শুধুই বিজেপি নেতা। অথচ একদা তাঁর হাত ধরেই বাংলায় এসেছিল ১৮টি সাংসদ পদ। এখন নেমে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। হ্যাঁ, তিনি দিলীপ ঘোষ। এবার দিলীপ ঘোষ নানা স্তরে বলে বেড়াচ্ছেন, তাঁকে ⭕গুরুত্বপূর্ণ পদ না দিলে রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেবেন। তবে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভাবছেন কিনা সেটা বোঝা যাবে রাজ্য সভাপতি পরিবর্🌌তনের মধ্য দিয়ে।
এই আবহে খুব বেশি হলে আর দু’মাস অপেক্ষা করবেন তিনি। এই ৬০ দিন সময়ের মধ্যে যদি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের দিকে ফিরে না তাকায়, তাহলে রাজনীতি ছাড়ার কথাই ভাববেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও শুক্রবার নিজেই বাতলে দিয়েছেন প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। এই মন্তব্যের পর বিজেপির অন্দরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আর জল মাপতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। একুশের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দিলীপ ঘোষই ছিলেন বঙ্গ–বিজেপিরඣ সব থেকে হেভিওয়েট মুখ। কিন্তু তিন বছরে পরিস্থিতির ব্যাপক ওলটপালট হয়েছে। এ🔥খন দিলীপ ঘোষ বিজেপিতে ‘সর্বহারা’।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত অবস্থায় বউমাকে কুপিয়ে খুন করল শ্বশুꦜর, রক্তাক্ত বিছানা দেখে শিউরে উঠল ভদ্রেশ্বর
দিলীপ ঘোষ চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি এমন স্থান–কাল–পাত্র দেখে দিয়েছেন যখন রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে বদল আসতে চলেছে। কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়ে যাওয়ায় সুকান্ত মজুমদার এখন আর ওই পদে থাকবেন না। নিয়ম সেটাই। তাঁর জায়গায় নতুন কেউ আসবেন। বিজেপি এখন আবার মহিলা মুখ খুঁজছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোকাবিলা করার জন্য মহিলাই হবে তুরুপের তাস। তবে দিলীপ ঘোষ আবার রাজ্য সভাপতি হলে এই ভাঙা সংগঠন♓ অক্সিজেন পাবে বলে মনে করেন অনেক আদি বিজেপি নেতা। এখন নানা জেলায় দিলীপের কর্মী বৈঠক বা কর্মীদের সঙ্গে আড্ডার পিছনে আরএসএস অনেকটা প্রশ্রয় আছে।