সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্বীকার করেছিলেন, অসন্তোষ থাকতেই পারে। সে তো আমার বিরুদ্ধেও থাকতে পারে। প্রশ্নটি করা হয়েছিল, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে কী অসন্তোষ রয়েছে? তখন শুভেন্দু নাম তিনি না নিলেও অসন্তোষের কথা স্বীকার করেছিলেন। এবার দেখা গেল তার হাতে গরম প্রমাণ। শুভেন্দুর নিজের ‘খাসতালুক’ কাঁথিতে বিজেপির যে কর্মসূচি হল তাতে হাজির হননি বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারী নিজে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওই জেলার বিধায়করা গরহাজির থাকলেন। তাহলে অসন্তোষ কী বাড়ছে? উঠছে প্রশ্ন।ঠিক কী ঘটেছে? দেখা গিয়েছে, শুক্রবার কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির ডাকে পেট্রোপণ্যের মূল্য হ্রাসে রাজ্য সরকার কেন পদক্ষেপ করেনি? এই প্রশ্ন তুলে সেখানে পথসভা হয়। সেখানে শুভেন্দু এবং জেলার বিজেপি কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ কাঁথি, খেজুরি এবং ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়করা গরহাজির ছিলেন। চারজন বিজেপি বিধায়কের একজনও শুভেন্দুর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন না। তখন প্রশ্ন ওঠে, অসন্তোষ কতটা? বিধায়করা অজুহাত হিসাবে বলছেন, তাঁরা বিধানসভা্য় ছিলেন। অথচ শুভেন্দু নিজে কলকাতা থেকেই কাঁথি গিয়েছেন। তাহলে বাকিরা গেলেন না কেন? যদিও শুভেন্দুকে সভায় বলতে শোনা যায়, ‘কাঁথি থেকে হলদিয়া পর্যন্ত আমার যাতায়াতের রাস্তায় উত্তর কাঁথি, খেজুরি, ভগবানপুর, নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়া সব আসনে মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন।’উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি আসনের মধ্যে সাতটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। তার মধ্যে শুধু কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় চার জন বিধায়ক রয়েছেন। যাঁরা কেউ উপস্থিত থাকলেন না শুভেন্দুর ডাকা কর্মসূচিতে। এই বিষয়ে দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ দাস বলেন, ‘আমি, ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি এবং খেজুরির বিধায়ক তিনজনই বিধানসভায় ছিলাম।’ খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিকের সাফাই, ‘নরঘাটে বাস দুর্ঘটনায় আমার এলাকার কয়েকজন মারা গিয়েছেন। সেটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আর কলকাতায় ব্যক্তিগত কিছু কাজে চলে গিয়েছিলাম।’ উত্তর কাঁথির বিধায়ক সুমিতা সিং বলেন, ‘আত্মীয় অসুস্থ থাকায় আমি বাইরে রয়েছি।’