আর মাঝে একটা 🤡দিন। তারপরই ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচন শুরু হয়ে যꦅাবে ৫ সেপ্টেম্বর। তবে এই উপনির্বাচনের আগে দলবদলের ঘটনা ঘটে গেল। তাতে এটাই প্রমাণ হয়, মূল লড়াই হবে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে। কারণ আজ, রবিবার বিজেপি নেতা তথা রাজ্য কমিটির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন। আর তার জেরে তোলপাড় হয়ে গেল রাজ্য–রাজনীতি।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ওই বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। আজ, রবিবার সকালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। মিতালি দেবীর অভিযোগ𒈔, একুশের নির্বাচনে হারার পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ তাঁর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেনি। যদিও শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারমঞ্চে তাঁকে দেখা যায়। সুতরাং এখানে অন্য কোনও অঙ্ক কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন মিতালি রায়। উপনির্বাচনের প্রচারে ধূপগুড়িতে অরূপ বিশ্বাস যখন যান, তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলে ছিলেন। এমনকী উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যে উন্নয়ন করেছে তাঁর শরিক মিতালি রায় বলেও সভায় জানান অভিষেক।
অন্যদিকে থেমে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ উপনির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দে꧅ন দীপেন প্রামাণিক। সুতরাং একে অন্যের ঘর ভেঙে দেওয়ায় এটাকে মাস্টারস্টোক বলা যাচ্ছে না। বরং লড়াইটা এই দুই দলের মধ্যে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল। দীপেনবাবু সংগঠনের নেতা। ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রটি হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই এই লড়াইটা সহজ হবে। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মাস্টারস্ট্রোক না কি সুপার মাস্টারস্ট্রোক সেটা আপনারা বলবেন। উনি রাজবংশী সমাজের মুখ। ওঁর বাবা শ্রদ্ধেয় বিধায়ক ছিলেন। উঁনিও বিধায়ক ছিলেন। আমরা খুব আনন্দিত উনি বিজেপিতে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: স্টিফেন কোর্টের কার্নিশ ভেঙে দুর্ঘটনা, পথচারীর মাথা ফেটে রক্তারক্তি কাণ্ড পার্ক স্ট্൩রিটে
আর তৃণমূল ঠিক কী বলছে? ধূপগুড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার মঞ্চে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি দীপেন্দ্রনাথ প্রামাণিক। তারপরই আজ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসকে পাল্টা জবাব দিল বিজেপি মিতালি রায়কে ছিনিয়ে নিয়ে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘২০২১ সালের নির্বাচনের আগে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতাকে যোগদান করিয়েছিল। নানারকম লোভ দেখিয়ে দলে আনা হয়েছিল। কী হয়েছে? তা আপনারা জানেন। ফলে এতেও কিছু হবে না। মিত🐟ালি যদি মনে করেন, বিজেপিতে গিয়ে তাঁর রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা পূরণ হবে তাহলে তাঁকে শুভেচ্ছ𝕴া জানাই।’