সরকারি হাসপাতালে অব্যাহত রয়েছে টাকার বিনিময়ে শয্যা বিক্রি করার দালাল চক্র। তদন্তে নেমে পুলিশ এবং সরকারি হাসপাতালের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন এখন হাতে নাতে টাকা না নিয়ে শয্যা বিক্রি করার জন্য অনলাইনে টাকা নিচ্ছে দালালরা। সম্প্রতি বেশকিছু ঘটনায় এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এরপরেই দালালচক্র রাখতে আরও তৎপর হয়েছে সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে দালালরাজ বন্ধের জন্য বারবার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তারপর থেকেই হাসপাতাল চত্বরে কর্তৃপক্ষ এবং সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি চালানো শুরু করে। পুলিশ এবং হাসপাতালের আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তাই দালালরা এখন অনলাইন মারফত টাকা নিচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে। এরফলে এখন নগদে টাকা নেওয়ার বিষয়টি খুব বেশি চোখে পড়ছে না পুলিশের। যে কারণে পদক্ষেপ করাও সম্ভব হচ্ছে না।এই বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে এসেছে এসএসকেএম এক রোগীর ভর্তি হওয়ার ঘটনায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই রোগীকে বেড পাইয়ে দেওয়ার জন্য ২৮ হাজার টাকা নিয়েছিলেন শিশু বিভাগে কর্মরত এক নিরাপত্তারক্ষী। পুলিশ যাতে কোনওভাবে তাকে ধরতে না পারে তার জন্য তিনি সেই টাকা অনলাইনে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রোগী পরিজনকে পাঠাতে বলেছিলেন। ফলে কোনওভাবেই দালালকে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে জানা যায়, প্রবীর নিয়োগী নামে ওই নিরাপত্তারক্ষী দর কষাকষি করে ২৮ টাকায় বিনিময় বেড পায়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রোগী পরিজনকে।রোগী পরিজনের কাছ থেকে এই অভিযোগের কথা জানা গেলেও অবশ্য তারা থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে চাননি। তাই হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং পরে প্রবীরকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তার কাছ থেকে ২৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালের সুপার পিযুষ রায় মনে করেন, এই ঘটনার সঙ্গে একটি চক্র জড়িত রয়েছে। কারা কারা জড়িত রয়েছে তা জানার জন্য পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।