শিশু শ্রমিকদের শিক্ষার মূল স্রোতে ফেরাতে ১৯৮৮ সালে শুরু হয়েছিল জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্প। পরে একাধিক শিশু শ্রমিক স্কুলও তৈরি হয়। কিন্তু সেই সমস্ত স্কুল কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার ফলে ফের বাড়ছে শিশু শ্রমিক। এমনই ছবি উত্তর দিনাজপুর জেলার। তাছাড়া, রাজ্য শ্রম দফতরের তরফে নজরদারিতেও সমস❀্যা রয়েছে বলে অভিযোগ। গত পাঁচ বছর ধরে পরি দর্শকের অভাবে উত্তর﷽ দিনাজপুরে শিশু শ্রম বিরোধী অভিযান বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি।
উত্তর দিনাজপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, নজরদারির অভাবে যেমন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি কেন্দ্র স্কুল বন্ধ করে দেওয়ায় যাদের স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল সেই সমস্ত শিশুরা পুনরায় শ্রমিকের কাজে ফিরে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়ায় তারাও শ্রমিকের কাজ করছেন। জাতীয় শিশু শ্রমিক প্রকল্পে দেশের প্রতিটি রাজ্যে 𒉰জেলা ভিত্তিক শি𝔉শু শ্রমিক স্কুল তৈরি করা হয়। এই স্কুলে ৬-১৪ বছর বয়সি শিশ𒈔ু শ্রমিকদের বিনামূল্যে শিক্ষা ও মিড-ডে মিলের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও প্রতি মাসে বৃত্তি বাবদ ১৫০ টাকাও🎃 দেওয়া হত।
অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুরে ৩৫টি এমন শিশুশ্রমিক স্কুল ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সমস্ত স্কুলে যে সমস্ত শিশুরা পড়াশোনা করত তারা পুনরায় পুরনো কাজে ফিরে গিয়েছে। কেউ আবার ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছে কাজের জন্য। এ বিষয়ে জেলা শ্রম দফতরের আধিকারিক বিদিশা ভট্টাচা𝔍র্য জানান, কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে তারা স্কুলগুলি চালাতে পারবে না। এরপরেই সার্ভে করে স্কুলগুলিকে সর্বশিক্ষা মিশনের আওতায় আনার জন্য রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। যদিও শিশু শ্রমিক স্কুল বন্ধের বিষয়টি জানা নেই বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘শিশু শ্রমিক স্কুল কেন বন্ধ রয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।’