শীত তো প্রায় পড়েই গিয়েছে। আর দার্জিলিংয়ে এখন বেশ ঠাণ্ডা। শৈলশহরে এখন ভিড় করেছেন পর্যটকরা। সবুজে ঘেরা শৈলরানি, বাতাসিয়া লুপ আর পাহাড়ের আনাচে কানাচে ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলেছে টয়ট্রেন। এ🐼টাই নস্টালজিয়া। এটাই হেরিটেজ। যার টানে বারবার পর্যটকরা শৈলশহরে ভিড় করেন। আর দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন বিশ্বের পর্যটনের দরবারে বিখ্যাত। দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন হেরিটেজ শিরোপা নিয়ে আজও নিজের ইতিহাসকে গৌরবের সঙ্গে ধরে রেখেছে।
এখন টয়ট্রেন শুধু দার্জিলিংয়ে চলে এমন নয়। চা–বাগানের বুক চিরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংয়ে যায়। প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য চা♔ক্ষুষ করেই সমতল থেকে পাহাড়ে সফর করেন পর্যটকরা। ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন সবসময়ই দার্জিলিংয়ের স্মৃতির ছায়াসঙ্গী ৷ ব্রিটিশ আম🙈ল থেকেই টয়ট্রেনের একটা গৌরবের ইতিহাস আছে। যেটা আজও মলিন হয়নি। এবার টয়ট্রেনের হেরিটেজ শিরোপার ২৫ বছর পূর্তি ৷ তাই সেটার উদযাপনে আরও স্মৃতি রাখতে একাধিক চমক নিয়ে হাজির হচ্ছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। যেখানে পরখ করা যাবে টয়ট্রেনের ১০০ বছরের পুরনো ইঞ্জিন।
আরও পড়ুন: লো–ভোল্টেজের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী রাজ্য, নতুন সাব-স্টেশন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে
সালটা ১৮৭৮। কলকাতার সঙ্গে শিলিগুড়ি যুক্ত হয় প্রথম মিটার গেজ রেললাইনের মাধ্যমে। কিন্তু তখন শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যেতে হতো ঘোড়ায় টানা টাঙা গাড়ি করে। এটার বিলুপ্তি ঘটাতে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির এক এজেন্ট রেলপথে দার্জিলিংকে যুক্ত করার প্রস্তাব তখন দেন। তৎকালীন গভর্নর অ্যাশলে ইডেন সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেন। তবে মিটারগেজের ট্রেন ভারী। তাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ন্যারো গেজের ট্রেন চালানো হয়। গভর্নরের সিলমোহরের পর গিলেন্ডারস আরবাথনট অ্যান্ড কোম্পানি রেলপথ নির্মাণ করে। এরপর ১৮৮০ সালের ২ꦡ৩ অগস্ট শিলিগুড়ি–কার্শিয়াংয়ে রেল চালু হয়। দার্জিলিং পর্যন্ত রেল লাইনের সম্প্রসারণ হয় ১৮৮১ সালের ৪ জুলাই। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং লাইন চালু হয়।