আলো জ্বলছে। কিন্তু টিমটিম করে। কখনও জোরালো হচ্ছে। আবার টিমটিম অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। এটা থেকেই স্থানীয় মানুষজন বুঝতে পারছিলেন লো–ভোল্টেজের জন্য এমনটা হচ্ছে। আর এই সমস্যা দীর্ঘদিন বয়ে নিয়ে বেড়াতে হচ্ছিল তাঁদের। ব🦄িষয়টি নিয়ে ক্ষোভ–বিক্ষোভও দেখিয়েছেন মাঝেমধ্যে। তাতেও তেমন লাভ হয়নি। জুটেছে শুধু আশ্বাস। সব ঠিক হয়ে যাবে—শুনেই রাত কাটছিল। এবার সেই সমস্যা দূর করতে নতুন সাবস্টেশন গড়ে উঠছে শ্যামপুর–১ ব্লকের ডিঙাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালদহে। কদিন আগেই এলাকা♉ পরিদর্শন করতে আসেন রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম দত্ত। এই নতুন সাবস্টেশন গড়ে উঠলে দু’টি পর্যটন কেন্দ্র এবং পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ লো–ভোল্টেজ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন।
এখানে দুটি পর্যটনকেন্দ্র আছে। শ্যামপুর–১ ব্লকের অন্তর্গত গাদিয়াড়া এবং গড়চুমুক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। এখানে সারাবছর পর্যটকরা এসে থাকেন। শীতকালে পর্যটক এখানে বেশি আসেন। আর শ্যামপুর–১ ব্লকেরই বাণ🌱েশ্বরপুর–১ ও ২, রাধাপুর, ডিঙাখোলার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন লো–ভোল্টেজের সমস্যায় নিয়ে বসবাস করছিলেন। এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা লো–ভোল্টেজ নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতেন। গ্রামের মানুষজনও চরম বিরক্ত। এলাকার বাসিন্দা সব্যসাচী বাগচী বলেন, ‘বিদ্যুৎ থাকলেও পাখা ধীর গতিতে ঘোরে। কারণ এখানে লো–ভোল্টেজ।’ গাদিয়াড়ার হোটেল মালিক স্নেহাংশু কয়ালের বক্তব্য, ‘গরমে এখানে খুব কষ্ট হয়। জেনেরেটরের জন্য টাকা খরচ করতে হয়।’
আরও পড়ুন: ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা নয়, আলুর দাম কমাতে বিধানসভায় বড় ঘোষণা কৃষি মন্ত্রীর
এখন শীতের আমেজ অনুভূত হওয়ায় পাখা চালাতে হচ্ছে না। কিন্তু আলো জ্বালাতে তো হচ্ছেই। তখন সেই টিমটিম করে আলো জ্বলছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। গাদিয়াড়ায় সরকারি হোটেলেও জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের কার্যালয়ে বারবার দরবার করেছেন। বিধানসভার অধিবেশনেও বিষয়টি তোলেন। এতকিছুর পর নতুন সাব স্টেশন বসতে চলেছে। এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণ্ময় মান্না বলেছেন, ‘বিদ্যুতের সাবস্টেশন তৈরির জন্য এক বিঘে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল বারবার বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাই♍ জট খোলে।’
এখন এখানকার বাসিন্দারা অপেক্ষা করছেন কখন লো–ভোল্টেজের যন্ত্রণা কেটে গিয়ে স্বাভাবিক আলো জ্বলবে। সম্প্রতি বিদ্যুৎ দফতরের সাবস্টেশন গড়ার জন্য জায়গা পরিদর্শন করেছেন পার্থপ্রতিম দত্ত এবং বিদ্যুৎ দফতরের অফিসাররা। হাওড়া জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে দ্রুত সাবস্টেশন গড়ে তোলার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে দিয়েছে। আর আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাই রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম দত্তের কথায়, ‘রাজ্⛎যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে এই জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। নতুন বছরে এই সাবস্টেশন হয়ে যাবে।’