নিজের হাতে গাছ লাগানো, সেই গাছে ফুল-ফল ফলানোর মজাই আলাদা। আবার সেই ফল যদি খাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই। আর টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্ত🉐ীর গাছ লাগানোর নেশার কথা অনেকেই জানেন। এই তো কিছুদিন আগে নিজের ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে চোদ্দ শাক ফলিয়ে চমকে দিয়েছিলেন। ভূত চতুর্দশীর দিন নিজের হাতে লাগানো সেই শাক কাঁচি দিয়ে কেটে তুলে সকলে মিলে খেয়েছেন। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন নিজেই।
আর এবার মিমির বাড়ির বাগানে ꧑দেখা মিলল জামরুল ও কমলালেবু গাছের। গাছ ভর্তি ফল দেখে খুশিতে আত্মহারা অভিনেত্রী। নিজেই ঘুরিয়ে দেখালেন সেই বাগান। পুকুরপাড়ে লাগানো কমলালেবু গাছ, সেখানে কাঁচা-পাকা কমলালেবু দেখিয়ে মিমি ক্যামেরা পার্সনকে বললেন, ‘এগুলো দেখিয়ে দাও, জুম ইন করো।’ এরপর কুদরি দেখতে পেয়ে ক্যামেরা পার্সনকে বললেন, ‘এই পেয়েছিಌ, এটাকে কুদরি বলে, এটা খাওয়া যায় জানো তো।’ যদিও জঙ্গলে নামতে গিয়ে কিছুটা ভয় পেয়ে প্রশ্ন করলেন, 'শাপ নেই তো এখানে, শাপের কামড়ে মরতে চাইনা বাবা…'।
তারপর দেখালেন মিষ্টি কুলের গাছ। যেটা গত বছর তাঁরা বসඣিয়েছেন বলে জানালেন। তারপর বাগানে ক্যাকটাস দেখিয়ে বললেন, ‘এটা ক্যাকটাস, সবার জীবনেই কাঁটা থাকে, এখানেও আছে।' তারপর সবেদা গাছ দেখিয়ে বলেন, ‘এটা সবেদা, আমার বাবা লাগিয়েছিলেন, যদিও একটা খেতে পাইনি।’ বলতে বলতেই রেলিং-এর উপর ﷽উঠে পড়লেন।
মিমির পোস্ট করা এই ভিডিয়োর নি♍চে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছি। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘সত্যিই খুব সুন্দর। মিমিদি বাইরে আধুনিক হলেও আদপে খাঁটি বাঙালি। এই জন্যই মিমি দি আমার খুব প্রিয়। এইজন্য আপনি আমার প্রিয় নো ইগো, নো অ্যটিটিউট।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘কমলালেবুর গাছটি দারুণ।’ কারোর কথায়, ‘এত ব্যস্ততার মধ্যেও বাগান বানিয়েছেন, এটাও তো দারুণ।’ এমন আরও অনেকেই কমেন্ট করেছেন।
প্রসঙ্গত, মিমির এই বাগানটি অবশ্য কলকাতার বাড়িতে নয়, এটা তাঁর জলপাইগুড♕়ির বাড়ির বাগান।