পরিষেবার মান ক্রমশ পড়ছে, কর্মীদের মধ্যেও বিরোধꦬ ও অশান্তি লেগে রয়েছে - এমনই বহু সমস্যায় জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। 🐭এই অবস্থায় এই সংস্থাকে ফের চাঙ্গা করতে হলে কিছু বছর তো সময় লাগবেই।
এনডিডিভি-র প্রতিনিধিকে একথা জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার এমডি এবং সিইও ক্যাম্পবেল উইলসন। তাঁর বক্তব্য, সংস্থায় এভারে♊স্টের সমতুল্য সমস্যা রয়েছে এবং তাঁরা সেটা অস্বীকার বা গোপন করছেন না। সেক্ষেত্রে সমস্যা মেটাতে সময় ত♚ো দিতেই হবে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুসারে, এই মুহূর্তে এয়ার ইন্ডিয়ার অন্যতম প্রধান সমস্যা হল - মূল সংস্থ𝕴ার একাধিক শাখা সংস্থা, যেমন - ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এয়ার এশিꦜয়া ইন্ডিয়া-এ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজার-হাজার কর্মীকে একত্রিত করা।
꧅কারণ, মূল সংস্থা এক হলেও তার প্রত্যেকটি শাখা সংস্থার কাজের নিজস্ব ধরন রয়েছে, এবং তা পরস্পরের থেকে আলাদা। সংশ্লিষ্ট কর্মীরাও এত দিন ধরে সেই কর্মপদ্ধতির সঙ্গে অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছেন। ফলত, তাঁদের নতুন করে এক জায়গায় আনা🦋টা বেশ কঠিন।
প্রসঙ্ඣগত, এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশে পাঁচ বছরের একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের দ্বিতীয় বর্ষ চলছে। আর তাতেই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ত🐽ে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
যেমন - ভিস্তারার সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার মূল সংস্থার একত্রীকরণ নিয়ে ভিস্তারার পাইলটরা ক্ষুব্ধ। কারণ, নয়া ব্যবস্থাপনার ফলে তাঁদꦿের ন্যূনতম উড়ানের সময়সীমা ৭০ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৪০ ঘণ্টা করা হয়েছে।
এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিমানচালকদের বেতন কমবে। বিশেষ করে জুনিয়র ফার্স্ট অফিসারদের এতে বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হবে। এর প্রতিবা⭕দে ইতিমধ্যেই 'ধর্মঘট' পালন করেন তাঁরা। যার জেরে গত মার্💖চ মাসের শেষ থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে।
যদিও লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এটা ঠিক ঘোষিত ধর্মঘট ছিল না। বদলে গণহারে ꧂একটি নির্দিষ্ট সময় বিমানচালকরা 'অসু🌠স্থ' হয়ে পড়েন!
এরপর গত মে মাসে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসেরও কেবিন ক্রু-এর সদস্যরাও ঠিক একইভাবে গণহারে 'অসুস্থ' হন। যা আদ🌳তে ধর্মঘটেরই নামান্তর বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। পরবর্তীতে ভারতের মুখ্য লেবার কমিশনারকে পর্যন্ত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়🔯। তাতে সমস্যা তখনকার মতো মেটে।
এই প্রেক্ষাপটে এনডিটিভি-কে উইলসন জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়াকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে পুরোদমে চা𓆉লু করা মোটেও সহজ নয়। অনেকেই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ ও অশান্ত।
সেসব মেনে নিয়𝔉েই উইলসনের বক্তব্য, তাঁরা সাধ্যমত𝓀ো চেষ্টা করছেন, যাতে একেবারে নতুন করে এয়ার ইন্ডিয়াকে দাঁড় করানো যায়। ইতিমধ্যেই সংস্থার কর্মীদের গড় বয়স ৫৪ বছর থেকে কমিয়ে ৩৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এছাড়াও, ৯,০০০ নতুন কর্মী নিয়োগ কর🥀া হয়েছে। চারটি এয়ারলাইন্সকে একত্র করে দু'টি করা হ🐼য়েছে। ১৪০টি আইটি সিস্টেম এবং ১০০টি নতুন বিমান আনা হয়েছে। নতুন প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে ও নতুন ন্যূনতম পরিষেবার মানদণ্ড স্থির করা হয়েছে।