কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে অভিজাত পরিবারের বꦫৃদ্ধাকে অস্ত্র দেখিয়ে লুঠের ঘটনায় এ❀খনও দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তারই মধ্যে একই কায়দায় লুঠ হল মালদার বুবুলচণ্ডীর কেন্দুয়া গ্রামে। নাতির সামনে ঠাকুমার গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ দিয়ে যাবতীয় মূল্যবান সামগ্রী লুঠ করে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। আহত বৃদ্ধাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার বুলবুলচণ্ডী তিন নম্বর কেন্দুয়া গ্রামে। ঘটনায় আক্রান্ত মহিলা আন্নাবালা মৃধা রক্তাক্ত অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে। বাড়ির ছেলে সুব্রত মৃধা ত্রিপুরায় সিআরপিএফ জওয়ান পদে কর্মরত। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, নাবালক দুই ছেলে এবং বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন। শনিবার রাতে সেই বাড়িতেই ঘটে ভয়ঙ্কর লুঠের ঘটনা। আক্রান্ত অন্নবালা দেবীর নাবালক নাতি বলেন, রাতে ঠাকুমা শ🍎ৌচাগারে গিয়েছিলেন। তখন আমি হালকা ঘুমে ছিলাম। হাঠৎ দেখি ঘরে কেউ ঢুকে পড়ে। আমি ঘুমের ভান করে পড়ে ছিলাম। এর পর ঠাকুমা ঘরে ঢুকতেই বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরে ওই ব্যক্তি। বলে, আওয়াজ করলে মেরে ফেলব, যা আছে সব বার করে দে। ঠাকুমা বাধা দিয়ে তার গলায় বঁটি দিয়ে কোপ বসায় ওই ব্যক্তি। এর পর ঠাকুমা ও মায়ের ঘরে থাকা যাবতীয় গয়না ও নগদ নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এর পর ঠাকুমাকে সবাই মিলে মালদায় নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যে বঁটি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল সেটিকে বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামে কয়েকদিন ধরে কীর্তন চলছিল। তাই প♌রিবারের সদস্যরা আর্তনাদ করলেওꦗ শোনা যায়নি। এই ঘটনায় গ্রামে ব্যপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।