বাংলা ভেঙে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হলেন গ্রেটার নেতা তথা বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ অনন্ত মহারাজ। বুধবার সংসদে এই দাবি তোলেন তিনি। অনন্তের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে কোচবিহারের অন্তর্ভুক্তি বেআইনি, অসাংবিধানিক। এই আবহে অমিত শাহের উদ্দেশে অনন্ত বলেন, 'স্বাধীনতার পর কোচবিহারের মানুষের প্রতি যে অবিচার হয়েছে, তা যেন শোধরানো হয়।' এদিকে বিজেপির অপর এক রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দল এই ইস্যুতে অনন্ত মহারাজের পাশে নেই। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র দাবি করেন, বাংলা ভাগের নীতিতে তাঁরা বিশ্বাস করেন না। (আরও পড়ুন: 'ইন্ডিয়া'র আগে ♕রাখলেন বাংলাকে, 'উলটো পথে' হেঁটে বড় সিদ্ধান্ত মমতার)
আরও পড়ুন: মিলল মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি, বাংলাদেশের পিচে চিনকে 'আউট' করল ꦓভারত
আরও পড়ুন: মমতার 'আশ্রয়🎃꧃' মন্তব্যের আবহে এপারে কতজন বাংলাদেশি? পরিসংখ্যান দিল BSF
উল্লেখ্য, ভোটের আগেও পৃথক কোচবিহার রাজ্য নিয়ে সরব হয়ে বিজেপির বিরু൩দ্ধে বিস্ফোরক হয়ে উঠেছিলেন গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ। বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও ভোটের সময় সেভাবে বিজেপির কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি। বরং পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে দলের জন্যে বিড়ম্বনা বাড়িয়েছিলেন। এমনকী ভোটের আবহে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতেও চলে গিয়েছিলেন। রাজ্যসভায় সাংসদ পদ ছাড়ার 'হুঁশিয়ারিও' দিয়েছিলেন অনন্ত। পরে শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হয় অনন্তর। সেই সময় শাহ জানিয়ে দেন, কোচবিহার পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে না। এত কিছুর মাঝে বিজেপি কোচবিহার আসনে হেরে যায়। এর নেপথ্যে অনন্ত মহারাজের 'ক্ষোভ' রয়েছে বলে মত অনেকের।
এদিকে 'উন্নয়নের স্বার্থে' উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মিল বেশি। এই আবহে যদি উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়, তাহলে উন্নয়নের জন্যে উত্তর-পূর্ব ভারতের বরাদ্দ অর্থ জুটবে উত্তরবঙ্গের ভাগ্যেও। এতে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে বলে দাবি বিজেপি নেতার। অবশ্য সুকান্তর প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা স্বয়ং। তাঁর দাবি, রাজ্যভাগের প্রস্তাব তিনি আদৌ দেননি। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের স্বার্থে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁ🐷র পালটা দাবি, রাজ্য সরকার যদি উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন চায়, তাহলে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করার কোনও কারণ নেই।