গঙ্গার ইলিশ এপারের নাগরিকরা যতই খেয়ে থাকুন না কেন, ওপারের ইলিশ পাতে পড়ুক এটা সকলেই চান। হ্যাঁ, সেটা পদ্মার ইলিশ। কিন্তু বাংলাদেশে যেভাবে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে তাতেꦡ সীমান্তবর্তী জেলার বাজারগুলিতে টান পড়েছে পদ্মার ইলিশের। চোরাপথেও এখন পদ্মা নদীর ইলিশ মাছে ঢুকছে না সীমান্তে। সুতরাং পদ্মার ইলিশ মাছের টান থাকায় একধাক্কায় খুচরো বাজারে দাম মারাত্মক বৃদ্ধি পেয়েছে। এক কেজির একটু 🧸বড় সাইজের ইলিশ মাছের দাম কেজি পিছু ৪০০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বড় ইলিশ মাছের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশের অশান্তির জেরে এমন প্রভাব পড়েছে ভোজনরসিকদের পাতে। টাটকা পদ্মার ইলিশের বিপুল চাহিদা রয়েছে এপার বাংলায়। এমনকী ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মানুষের কাছেও পদ্মা নদীর ইলিশের কদর রয়েছে। বাজারে সাধারণত ১২০০ গ্রামের ওজনের ইলিশের দাম কেজিপিছু ১৫০০ টাকায় বিক্রি হয়। এখন জলঙ্গির বাজারে পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টা🅺কা কেজি দরে। সর্বোচ্চ ১৮০০ গ্রামের পদ্মার ইলিশ এখন ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওপারে ইলিশ এপারে পাঠাতে পারলে বিপুল মুনাফা করা যায়। পাচারকারীরা চোরাপথে পদ্মার ইলিশ এপারের বাজারে বিক্রি করে মোটা টাকা মুনাফা করে। কিন্তু এখন জোগান নেই। বাংলাদেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থ🌠িতি তৈরি হওয়ায় কোপ পড়েছে পদ্মার ইলিশে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় রদবদলে সিলমোহর, অবশেষে ২৭ দিন পর ফাইলে সই করে ছাড়লꦍেন রাজ্যপাল
এদিকে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় জলঙ্গি সীমান্তের মাছ বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘নিয়মিত মাছ মিলছে না। মাছের জোগান বেশি থাকলে দাম কমে। এখন পদ্মার ইলিশ মাছের দাম বেশি। আর বাংলাদেশের যা অবস্থা তাতে ইলিশ মাছ কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।’ কয়েক🎶জন ক্রেতার বক্তব্য, ‘প্রত্যেক বছর জুলাই–অগস্ট মাসে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায়। জলঙ্গি এবং সাগরপাড়ার বাজারে পদ্মার ইলিশ মাছের আমদানি হয়। এখন সীমান্তে তুমুল কড়াকড়ির জেরে ইলিশ পাচার অনেকটাই কমেছে। এখন পদ্মার ইলিশ স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। পদ্মার ইলিশের স্বাদ অনেক ভাল। তাই দামও এখন বেশ༺ি দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশে অশান্তির জেরেই ইলিশের দাম বেড়ে গিয়েছে।’