আজ খুশির ইদ। মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষজন এই উৎসবে মেতে উঠেছেন। রেড রোডে আজ হাজির হন বাংলার মু🎐খ্যমꦆন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকেই এদিন সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা বলেছেন। দেশের অখণ্ডতাকে অক্ষুন্ন রাখার কথাও তাঁরা তুলে ধরেন। আর হুগলির পান্ডুয়ার কলবাজারে এসে ইদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অভিনেত্রী সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মেতে উঠলেন। সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তিনি। একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিলেন তারকা সাংসদ। যোগ দিলেন নমাজ পাঠের অনুষ্ঠানে। আর সকলকে সংহতির বার্তা দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিদি নম্বর ওয়ানকে যে এভাবে পাওয়া যাবে সেটা অনেকে কল্পনাই করতে পারেননি। তবে হুগলির বাসিন্দারা আজ সাংসদকে কাছে পেয়ে অত্যন্ত💯 খুশি। সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব মেলার পর থেকেই সমস্ত উৎসবে নিজের এলাকা হুগলিতে দেখা দিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইদেও একেবারে হালকা মেজাজে দেখা দিলেন অভিনেত্রী সাংসদ। আজ সকালে হুগলির পাণ্ডুয়ায় যান সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পবিত্র নমাজ পাঠের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে হাজির ছিলেন পান্ডুয়ার বিধায়ক রত্না দে নাগ, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঘোষ–সহ অন্যান্যরা। আর এখানেই সাংসদ রচনা বলেন, ‘গতবার প্রার্থী ছিলাম, এবার সাংসদ হয়ে পান্ডুয়াতে এসেছি। পান্ডুয়ার মানুষ আমাকে সমর্থন করেছেন। কাছে ডেকে নিয়েছেন। তাই তাঁদের পাশে আমি থাকব সবসময়।’
আরও পড়ুন: গোবরডাঙা ও গাইঘাটা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ, জরিমানাও করলেন বিচারক
আজ সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে ভ্রাতৃত্ব এবং সংহতির বার্তা দেন। নমাজের শেষে তিনি সকলের মঙ্গল কামনা করেন। আর একসঙ্গে মিলে থাকার কথা বলেছেন। এখন অনেক বেশি সক্রিয় রচনা। তাই রাজ্য–রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতির সব খবর রাখেন তিনি। সেখানে ইদ উপলক্ষ্যে মিলেমিশে থাকার কথা বলে মনে করিয়ে দেন দেশের সংবিধানে সবাই সমান। তাঁর বক্তব্য, ‘ধর্ম জাতিভেদ কখনও রাজনীতির মঞ্চে আসা উচিত নয়। আমরা মানুষ। একে অপরকে ভালবাসি, শ্রদ্ধা করি। দলের নেত্রীও সেই কথাই বলꦛে এসেছেন বারবার। আমরাও সেই মতো চলি।’
এছাড়া পান্ডুয়ার মানুষজন যে ভালবাসা তাঁকে দিয়েছেন সেটার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, সর্বদা এলাকার মানুষের পাশে থাকবেন তিনি। তবে আজ বিরোধীদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বরং হুগলির সাংসদের কথায়, ‘যেভাবে কলকাতার রেড র🌼োডে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ইদ পালিত হয়, সেভাবেই পাণ্ডুয়াতেও আজকের ইদ উদযাপিত হচ্ছে। সবাই মিলে মিশে থাকব, এটাই তো কাম্য। আমরা জানি আমরা পশ্চিমবঙ্গের জন্য কী করছি। আগামী দিনে কী কাজ করব। কে কী করল, কে কী বলল সেসব নিয়ে ভাবি না। বলিও না।’ অফ হোয়াইট চুরিদার–ওড়না পরে ছিলেন তি♏নি। কিন্তু এমন পোশাক কেন? জবাবে দিদি নম্বর ওয়ানের জবাব, ‘আজকে পবিত্র ইদের দিন। আজকে সাদা পড়ব না তো কবে পড়ব।’